যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ গুলির ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। বন্দুকধারী গুলি করে হত্যাকান্ড ঘটানোর পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন ।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের তুলসার একটি মেডিকেল ভবনের ভেতরে রাইফেল ও হ্যান্ডগান নিয়ে গুলি চালায় এক ব্যক্তি। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ গুলির ঘটনা। খবর রয়টার্সের
সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বাইরে তুলসার ডেপুটি পুলিশ প্রধান জোনাথন ব্রুকস সাংবাদিকদের বলেন, বন্দুকধারীও মারা গেছেন। স্পষ্টতই একটি আত্মঘাতী আঘাতের কারণে এটি ঘটেছে।
ব্রুকস বলেন যে, পুলিশ লোকটির পরিচয় নির্ধারণের চেষ্টা করছে। তার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
তুলসার আরেক উপ-পুলিশ প্রধান এরিক ডালগ্লিশ বলেছেন, নিহতদের মধ্যে হাসপাতালের কর্মচারী ও রোগী রয়েছে।
আগের দিনের তুলসা পুলিশ বিভাগ বলেছিল যে, তারা গুলির ঘটনায় সাড়া দিয়েছে এবং জনসাধারণকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকতে বলেছে।
তুলসা শহরের মেয়র জি.টি. বাইনুম হামলার খবর পাওয়ার পরপরই ব্যবস্থা নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তুলসা শহরটি ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ওকলাহোমা সিটি থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিলোমিটার) উত্তর-পূর্বে অবিস্থিত। শহরটিতে প্রায় ৪ লাখ ১১ হাজার মানুষ বসবাস করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গুলির ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও ঘটছে এমন ঘটনা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির রাজনীতিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। অনেকে কঠোর বন্দুক আইন করার দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টেক্সাসের একটি প্রাথমিক স্কুলে এক কিশোর গুলি চালিয়ে ২১ জনকে হত্যা করে। এর কয়েকদিন আগে নিউইয়র্কের বাফেলোতে একটি মার্কেটে গুলির ঘটনায় দশ জন প্রাণ হারান।