গাজীপুরে আওয়ামীলীগ নেত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে এক কাউন্সিলরকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ফারুক আহমেদ (৪৮) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
জিএমপি’র টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জাবেদ মাসুদ জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক আহমেদের (৪৮) বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শুক্রবার সকালে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। গাজীপুর মহানগর টঙ্গী অঞ্চলের ৪৯ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও টঙ্গী মহিলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদিকা হাসনা আলম আসমা (৩৫) এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদকে তার টঙ্গীর বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, কাউন্সিলর ফারুক দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারিরীক মেলামেশার জন্য আসমাকে নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২৩ মে সকাল ১০টার দিকে টঙ্গীর এরশাদ নগরের বাসায় এসে বড় নেত্রী বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে শারিরীক মেলামেশা করার উদ্দেশ্যে ভিকটিম আসমাকে ঝাপটে ধরে ফারুক। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে চুমু দিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় ডাকচিৎকার শুরু করলে ফারুক ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বাসা থেকে চলে যায়।
এদিকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্বন্ধ ও গ্রুপিংয়ের বলি হয়েছি।
দলের স্থানীয় সাধারণ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আসমা ও ফারুক দু’জন দু’পক্ষের অনুসারী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে দ্বন্ধ চলে আসছে। স্থানীয় পর্যায়ে দ্বন্ধের কারনে একপক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন সময়ে নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এতে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ত্যাক্তবিরক্ত হয়ে পড়েছেন। সর্বশেষ এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা কর্মীরা বিব্রতবোধ করছেন। গ্রেফতারকৃত কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বরখাস্তকৃত সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (সাময়িক বরখাস্ত) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী।