রাজনীতি

‘সন্ত্রাসী-খুনিদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে’

সন্ত্রাসী-খুনিদের উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে। যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার বক্তব্য দিয়ে মিছিল করবে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাত্তরের পরাজিত শক্তি একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের প্রতিহত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শনিবার আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা এসব কথা বলেন।

রাজধানীতে আলাদা আলাদা কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো।

কৃষক লীগ : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির আয়োজিত কর্মসূচিতে সংসদ-সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছিল হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। তাদের হাতে কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়েছে, কৃষকবিরোধী, শ্রমিকবিরোধী ষড়যন্ত্রই তাদের মূল লক্ষ্য।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মুখ সামলে কথা বলবেন, সংযত থাকুন। ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।
কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিদেশি প্রভুদের সহায়তায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলার কৃষকসমাজ ঘরে বসে থাকতে পারে না।

সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন, ছাত্রদল নেতা জুয়েলকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। পরে প্রতিবাদ মিছিল প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ : বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, আজ যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে, দেশকে যখন উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, তখন তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে কোনোভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে চায়। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, একাত্তর, পঁচাত্তর ও ২১ আগস্টের খুনিরা এখন অভিন্ন শক্তি। এ খুনিদের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, সহসভাপতি শামীম শাহরিয়ার, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।

যুবলীগ : এদিন সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বর্ধিত সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগ। এ সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।

কর্মসূচি থেকে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে কঠোরভাবে প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিকে একই ইস্যুতে আজ রোববার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে যুবলীগ।

কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ : সংগঠনটির আয়োজনে জুরাইন রেলগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা-মাওয়া সড়কের দোলাইরপাড় চত্বর প্রদক্ষিণ করে জুরাইন আলম মার্কেটের সামনে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সহকারী সচিব ড. আওলাদ হোসেন, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম মিয়া, ঢাকা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ : বিকালে ডেমরার চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।