২০০০ সাল থেকে ২০২২ অবদি ১৩২টি টেষ্ট খেলা বাংলাদেশ মাত্র ১৬ টেষ্টে জয় পেয়েছে, হেরেছে ৯৩ টেষ্টে এবং ড্র করেছে ১৮ টেষ্টে। কাল বাংলাদেশ সময়ে রাত ৮টায় অ্যান্টিগায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ১ম টেষ্টের আগে আবারো পরিসংখ্যানের পাতাটা উল্টাতেই হচ্ছে। কারণ আইসিসির টেষ্ট র্যাঙ্হিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ নম্বর দল হলেও বাংলাদেশ ৯ নম্বর দল।
১৯২৮ সাল থেকে ৫৬৩টি টেষ্ট খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞতা অবশ্যই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। সেটা হউক বাংলাদেশের মাটিতে আর হউক বিদেশের মাটিতে।
২০০২ সাল থেকে ২০২১ অবদি বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেষ্ট খেলেছে ১৮টি, তাতে হার ১২টি, জয় ৪টি আর ড্র ২ টেষ্টে। ২ টেষ্ট জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আর ২ টেষ্ট নিজেদের ঘরের মাঠে।
দল গত পরিসংখ্যান বা ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান কোনটাই বাংলাদেশের পক্ষে নয়। তারপরও ২০২২ সালে যদি ২০০৯ সালের মতো বিশেষ কোন কিছু হয় তাহলে হয়তো নতুন কোন ইতিহাস লেখা যাবে।
কিন্তু সেটাও জন্য দলের টপ অর্ডারের ব্যক্তিগত রানের লম্বা ইনিংস অতিব জরুরী। আর সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিপক্ষে বলা মতো আহামরি কিছু নেই। ২০০২ সাল থেকে আজ অবদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যা কিছু ব্যক্তিগত রেকর্ড করেছেন যে সব ক্রিকেটাররা তাঁদের মধ্যে কেবল তামিম আর সাকিবই বর্তমান দলে আছেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ টেষ্ট খেলা বাদ দিয়েছেন। আর অভিজ্ঞ টপ অর্ডার মুশফিকুর রহিম হজ্জে গেছেন।
বলার মতো কেবল তামিমের ১ সেঞ্চুরি আর ২ ফিফটি (১২৮ রানে, ২০০৯) আর সাকিবের ২ ফিফটি ৯৬ অপরাজিত (২০০৯) আর ৫৪ রান (২০১৮)। তামিম-সাকিবের নাম বাদ দিলে একমাত্র মমিনুলের নামের পাশে ২টা ফিফটি আছে। ২০১৪ সালে ৫১ আর ৫৬।
এছাড়া বর্তমান দলের অন্য কোন ব্যাটসম্যানের ওয়েস্ট ইন্ডিজে মাটিতে ফিফটির অর্জন নেই। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের মাটিতে টাইগারদের বিপক্ষে অনেক কিছুই করেছে। নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে এ পর্যন্ত করেছে ১৭ ফিফটি, ৬ সেঞ্চুরি আর ২ ডাবল সেঞ্চুরি।
অপর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজর মাটিতে বাংলাদেশ ২০০২ থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫টি সেঞ্চুরি করেছে, ফিফটি ১৪টি। কোন ডাবল সেঞ্চুরি নেই।
২০০৪ সালে হাবিবুল বাশার ১১৩, মোহাম্মদ রফিক ১১১, খালেদ মাসুদ পাইলট অপরাজিত ১০৩, মোহাম্মদ আশরাফুল ৮১ ও রাজিন সালেহ ৫১। ২০০৪ সালে ২য় টেষ্টে কেবল বাশারের ৭৭ ছিল।
লম্বা বিরতির পর ২০০৯ সালে তামিম ১২৮, জুনায়েদ সিদ্দিকী ৭৮, রকিবুল হাসান ৬৫ আর সাকিবের অপরাজিত ৯৬। ২০১৪ সালে ১ টেষ্টে মমিনুল ৫১, তামিম ৫৩, রিয়াদ ৬৬, মুশফিক ১১৬। ২০১৪ সালেই রিয়াদ ৫৩, তামিম ৬৪ আর মমিনুল ৬৬।
২০১৮ সালে ১ম টেষ্টে নুরুল হাসান ৬৪ ছাড়া কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। ৪৩ রানে ১ম ইনিংসে অলআউট! ২০১৮ সালে দ্বিতীয় টেষ্টে একমাত্র ফিফটি সাকিবের ৫৪। এই হচ্ছে টাইগাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটেতে অভিজ্ঞতা।