আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম টেষ্ট ম্যাচ। হজ্জে যাওয়ার কারণে দলে নেই অভিজ্ঞ মুুশফিক। তাই মুশফিকের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং লাইন জোরদার করার দায়িত্ব সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের ওপর।
এই সিরিজের আগে অনেক স্মৃতিই সামনে এসেছে। চার বছর আগে অ্যান্টিগায় বাংলাদেশের শেষ সফরটি সুখকর ছিল না। তাদের ২০১৮ সালের সফরের প্রথম দিনে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে ৪৩ রানে আউট করে, যা তাদের সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর। সফরকারীরা সেই টেস্ট সিরিজের বাকি অংশে দাঁড়াতেই পারেনি।
তখনকার অপমানিত সেই বাংলাদেশ এখন তাদের মুখোমুখি আরও বড় পরিণত দল। তারপরও বাংলাদেশ ব্যাকফুটে আছে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়ার পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে ছিটকে গেছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়ক মনোনীত হলেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরাজয়ের পর মুমিনুল হক অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
সাকিব আল হাসানের হাতে লাগাম দেওয়া হলেও টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তার উদাসীনতা সর্বজনবিদিত। বিষয়টি আরও খারাপের দিকে গেছে মুশফিকুর রহিম দলে না থাকায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের সর্বোচ্চ স্কোরার মুশি। তিনি হজে গেলেন, সেইসাথে তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম যারা উভয়ই ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর এ সব ঘটনার সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচে মুশফিকের মিডল অর্ডারের বদলি ইয়াসির আলীও পিঠের ইনজুরির কারণে বাদ পড়ার ঘটনা।
তবে প্রস্ততি ম্যাচে আশা করার মতো ঘটনাও রয়েছে। কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ড্র করা প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে দর্শকদের জন্য আশা করার মতো অবশ্য কিছু রয়েছে। বিশেষ করে ওপেনার তামিম ইকবাল সিডব্লিউআই প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে অপরাজিত ১৬২ দিয়ে বাউন্স ব্যাক করেন, যেখানে নাজমুল হোসেন শান্ত একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফিফটি আদয় করে নেন। অপর দিকে অনেকদিন পর লাল বলে বোলিং করা মুস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেনও প্রস্তুতি ম্যাচে শিকার করলেন তিনটি করে উইকেট।
এদিকে, স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাম্প্রতিক টেস্ট অভিজ্ঞতার কিছুটা কম, ২০২২ সালে শুধুমাত্র একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে। কিন্তু মার্চে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে জয়টি আশ্বস্ত করেছিল যে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দায়িত্বে থাকার কারণে তারা সম্ভবত ট্র্যাকে ফিরে এসেছে।
কেমার রোচ তার ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে সঠিক পেস আক্রমণের হুমকি দিতে। যার মধ্যে আলজারি জোসেফ, জেডেন সিলস এবং নবাগত অ্যান্ডারসন ফিলিপও রয়েছে।
এছাড়াও সিরিজের জন্য উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ডেভন থমাস এবং বাঁহাতি স্পিনার গুদাকেশ মতির জন্য প্রথমবারের মতো কল-আপে রয়েছে। ব্র্যাথওয়েট তার ডেপুটি জারমেইন ব্ল্যাকউডের সাথে ব্যাটিং লাইন আপের নেতৃত্ব দেবেন, এনক্রুমাহ বোনার, জোশুয়া দা সিলভা এবং কাইল মায়ার্সের সাথে যাবেন। রেমন রেইফার তার বাঁহাতি পেস এবং ব্যাটিংয়ের সাথে ভাল কিছু দেখাতে প্রস্তত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাজেনারিন চন্দরপল এবং শেরমন লুইসকে রিজার্ভ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সম্ভাব্য):
১ ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), ২ জন ক্যাম্পবেল, ৩ এনক্রুমাহ বোনার, ৪ জারমেইন ব্ল্যাকউড, ৫ কাইল মায়ার্স, ৬ জোশুয়া দা সিলভা (উইকেটরক্ষক), ৭ ডেভন থমাস, ৮ রেমন রেইফার, ৯ আলজারি জোসেফ, ১০ অ্যান্ডারসন ফিলিপ/কেমার রোচ, ১১ জেডেন সিলস
বাংলাদেশ (সম্ভাব্য):
১ তামিম ইকবাল, ২ মাহমুদুল হাসান জয়, ৩ নাজমুল হোসেন শান্ত, ৪ মুমিনুল হক, ৫ সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), ৬ লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), ৭ নুরুল হাসান, ৮ মোসাদ্দেক হোসেন, ৯ তাইজুল ইসলাম, ১০ খালেদ আহমেদ, ১১ এবাদত হোসেন।