মিরসরাইয়ের করেরহাটের আলোচিত গৃহবধূ মুন্নীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নেমেছেন ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে দীর্ঘ ২ বছর ২ মাস ১৩ দিন পরে গৃহবধূ মুন্নীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক।
এর আগে ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল (রবিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম অলিনগর গ্রামের সওদাগর বাড়িতে গৃহবধূ কুলছুমা আক্তার মুন্নী’র নির্মম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সে ঐ বাড়ির কাতার প্রবাসী আক্তার হোসেন প্রকাশ মুক্তার এর স্ত্রী।
একই বছরের ৬ এপ্রিল উক্ত ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ফিরোজ আহমেদ বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় নিহতের স্বামী আক্তার, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, ২ ঝা ও ভাসুর সহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৩০৬ ধারায় মামলা নং-৭/(৪)২০২০ দায়ের করেন, যাহার জি.আর মামলা নং-৭/৬৮।
দীর্ঘ ৬ মাস পরে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের উপর নারাজি দিয়ে একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে উক্ত মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তে স্থানান্তর করা হলে ঘটনার ১০ মাস পরে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী উক্ত ঘটনা তদন্তের নিমিত্তে পিবিআই এর টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রায় ১০ মাস তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর পিবিআই চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
পিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে নারাজি দিলে ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী নিহতের শিশু সন্তান আরাফাত হোসেন মাহিনের জবানবন্দি’র উপর ভিত্তি করে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে উক্ত মামলা পুনরায় (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভিকটিমের পরিবারের দাখিল করা কোর্ট পিটিশন পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আকতার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি