প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে করোনাভাইরাস মহামারিকালে মোবাইলে আর্থিক সেবা-এমএফএসের প্রসার হলেও এখনও দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭১ শতাংশ মানুষ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে রয়েছে। এমএফএস এর বাইরে রয়েছে ৩২ শতাংশ।
এইসময়ে এমএফএসে নতুন হিসাবধারীর সংখ্যা বাড়লেও করোনা পরবর্তী সময়ে এর ব্যবহার কমেছে।
পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে এমএফএস এর ব্যবহার ৮০ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৬২ শতাংশে।
ডিজিটাল শক্তি কাজে লাগিয়ে এই অবস্থার উত্তরণে একসঙ্গে কাজ করাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্যাংক-বীমা এবং এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো।
উন্নয়ন সংস্থা সুইসকন্ট্যাক্টের আয়োজনে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অগ্রগতি: তৈরি পোশাক কর্মীদের সুযোগ তৈরি’ বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় এসব তথ্য উঠে আসে।
আলোচনায় অংশ নেন ব্যাংক এশিয়ার ডিএমডি মো. জিয়াউল এইচ. মোল্লা, বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) এবং নগদ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক প্রজ্ঞা পারমিতা সাহা।
বৈঠকে বাংলাদেশের যেসব মানুষ ব্যাংকিং সেবা পান না তাদের জন্য পরিকল্পিত সেবা প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য মোবাইল হ্যান্ডসেট, ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে ছড়িয়ে দিতে অ্যাপ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিজিএমইএ পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম ও বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে অংশীজনদের মধ্যে মেলবন্ধন রচনায় গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক এর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ।
অনুষ্ঠানে পাইলট প্রকল্প হিসেবে পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে আর্থিকঅন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করতে মেটলাইফের সঙ্গে যৌথভাবে সারথী উদ্যোগের অধীনে ২০২৩ সালের মধ্যে ৯০ হাজার পোশাক শ্রমিককে ডিজিটাল লেনদেনের অধীনে নিয়ে আসার ঘোষণা দেওয়া হয়।
একই উদ্যোগের পোশাক শ্রমিকদের আর্থিকঅন্তর্ভূক্তি ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে কেবল বেতনের টাকা কেবল ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট নয় প্রকল্পের অধীনে ৭০ হাজার শ্রমিককে সঞ্চয়ের অধীনে নিয়ে আসা, ৩০ হাজার শ্রমিককে স্বাস্থ্য বীমা দেওয়া এবং ১০ হাজার জনকে ঋণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
গত ২১ জুন এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কৃষ্ণ ঠাকার; মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও আলা আহমেদ; সুইসকন্টাক্ট দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক মনীশ পান্ডে এবং সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান বক্তব্য রাখেন।