কাল রাত ৮টায় বাংলাদেশ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শেষ টেষ্ট খেলতে নামবে অতিথি সাকিব বাহিনী। গত সপ্তাহে অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলাররা বাংলাদেশের ২০ উইকেটের সবকটিই আউট করেছে। যার মধ্যে ১৩টি উইকেটই ছিল কিপারের হাতে ক্যাচ। পেস এবং বাউন্সী উইকেট গুলিতে কঠো ব্যাটিং আবারও বাংলাদেশের পূর্বাবস্থা নিয়ে এসেছে। যদিও ঐতিহাসিক জয় দিয়ে বছর শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ড এ বাংলাদেশের ব্যাটাররা সম্মিলিত ভাবে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা দেখিয়েছিল। সেই ধৈর্য ও শৃঙ্খলা চলতি সিরিজে নেই বলে প্রমাণিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ঘরের মাঠে লঙ্কার বিপক্ষে হার এখনও স্মৃতি অম্লাণ। দ্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ টেষ্টের উভয় টেস্ট ম্যাচেই টপ এবং মিডল অর্ডার পেসারে ছটফট করেছে। এরপর তো ঘরের মাঠ শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার অসম্ভব পেস বোলিং নায়ক কাসুন রাজিথা এবং আসিথা ফার্নান্দো তাদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কয়েক সপ্তাহ-র ব্যবধানে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের পালা শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ব্যাটিং লাইনের পতন থেকে পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা। গত মাসে মিরপুর টেস্টে সবচেয়ে বড় ইতিহাস ছিল যখন বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ছয় জন শূন্য রানে আউট হয়। পরে মিডল অর্ডারে লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির সুবাদে ৩৬৫ রান করে শেষ পর্যন্ত।
বংলাদেশের মজার বিষয় হচ্ছে- গত ১৮ মাসে বাংলাদেশের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ উইকেট জুটি অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (৫টি) করেছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেটে দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ রান এবং দ্বিতীয়-সেরা গড় নিয়েও বংলাদেশ দল সেরা।
তাই কাল টেষ্টে মাঠে গড়ানোর আগে বার বার আলোচনায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ক্যারিবিয়ান কঠিন উইকেটে আবােরো কি আরো একটি হতাশ করা টেষ্ট খেলবে বাংলাদেশ, না-কি নতুন কিছু করবে? অপেক্ষা পালা আর টাইগারদের ব্যাটিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা।