Featured দেশবার্তা শিক্ষা

ডুয়েটে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু

গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)-এ ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএমএমপিই-২০২২)’ বিষয়ক তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের শুরু হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং, এনার্জি এবং প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধিকতর গবেষণা ও উদ্ভাবনকে লক্ষ্য রেখে শনিবার থেকে আন্তর্জাতিক এ কনফারেন্স শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে যন্ত্রকৌশল অনুষদের উদ্যোগে এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে এক শুভেচ্ছা বাণীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানান ও অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন। উপাচার্য বলেন, একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা মূলত প্রকৌশল বিষয়ক। এর সমাধান মূলত প্রকৌশলীরাই দিতে পারে। তাই প্রকৌশলীদেরকেই গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমস্যাগুলোকে সমাধান করে দেশ ও জাতি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একযোগে গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রচেষ্ট চালানোর আহ্বান জানান।

কনফারেন্সের পৃষ্ঠপোষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে কনফারেন্স চেয়ার হিসেবে বক্তব্য দেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, অরগানাইজিং চেয়ার যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, কনফারেন্স সেক্রেটারি যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওয়াসিম দেওয়ান প্রমুখ।

তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক এ কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৮০টির অধিক টেকনিক্যাল পেপার, কী নোট বক্তৃতা, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন ইত্যাদি উপস্থাপিত হবে। বিশ্বব্যাপী প্রকৌশল বিষয়ে সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ও গবেষণা নিয়ে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে মতবিনিময় এবং কর্মপন্থা নির্ণয়ই এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন।