প্রায় ৮ মাস থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আনাতর্জাতিক বন্দরে অবরতণ করে।
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরে ব্যাপক শোডাউন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
গত বছরের ৫ নভেম্বর সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ব্যাংকক যান রওশন এরশাদ। সেদিন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ছাড়া আর কেউ তাকে বিদায় জানাতে না গেলেও সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার দিন খোদ পার্টির চেয়ারম্যানসহ দলের শীর্ষনেতারা বিমানবন্দরে উপস্থিত হোন। উপস্থিত হোন পাটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে কয়েক সহাস্রাধিক নেতাকর্মী সংবর্ধনা জানান রওশন এরশাদকে। রওশন বিমানবন্দর থেকে বের হলে তাকে স্বাগত জানিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে পার্টির নেতাকর্মীরা।
বিমানবন্দরে রওশন এরশাদকে স্বাগত জানাতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, মসিউর রহমান রাঙ্গা, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, লে. জে. অব. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, রওশন আরা মান্নানসহ সিনিয়র মেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিমানবন্দরের বাইরে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার নির্বাচনী এলাকা থেকে কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে রওশন এরশাদকে সংবর্ধনা জানান। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু বিপুলসংখ্যক গাড়ীর বহর নিয়ে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে নিয়ে যান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড থেকেও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বিমানবন্দরে উপস্থিত হোন। এছাড়াও ময়মনসিংহের রওশন এরশাদের নির্বাচনী এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী গাড়ী নিয়ে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হোন। পার্টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও রওশন এরশাদকে সংবর্ধনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হোন।
এদিকে এরশাদ ট্র্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে রওশন এরশাদকে স্বাগত জানান সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী। ট্রাস্টির পক্ষ থেকে বিপুলসংখ্যক গাড়ী শোডাউনও করা হয়। তারা রওশনকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন রকমের ব্যানার ও ফেস্টুন সহকারে মিছিল নিয়ে বিমানবন্দরে আসেন।
রওশন এরশাদ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে চলে যাবেন। তিনি ১০০১ নং রুমে অবস্থান করবেন। ঢাকায় অবস্থানকালে রওশন এরশাদ সেখানেই থাকবেন। আগামী ৩০ জুন বাজেট অধিবেশনের সমাপনী দিনে উপস্থিত থাকবেন। পরে আগামী ৪ জুলাই চিকিৎসার জন্য আবারও থাইল্যান্ড চলে যাবেন।