আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শনিবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আগাম টিকেট পেতে স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে এখন টিকেটপ্রত্যাশীদের লম্বা লাইন।
এদিকে অনলাইনে টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক টিকেটপ্রত্যাশী। টিকিট নামের সোনার হরিণ পেতে কেউ এসেছেন আগেরদিন দুপুরে, কেউ বিকেলে কেউ বা সন্ধ্যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে যারা টিকেট পেয়েছে তারা তো খুশি। কিন্তু যারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা সবাই টিকেট পাবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তবে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ঈদুল ফিতরের সময় অনলাইন টিকিট নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এবার এখন পর্যন্ত সে ধরনের অভিযোগ পাইনি।
শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশনে ইসলামী ব্যাংকের দেওয়া ৫০টি ট্রলিগ্রহণ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকেই অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কাটতে পেরেছেন। তবে অনলাইনে কোনো ফাঁকফোকর পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, চাহিদার তুলনায় রেলওয়ের যে সক্ষমতা এবং এটার যে ফারাক; সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত কমাতে না পারব, ততদিন এ পরিস্থিতি থেকে আমাদের যাত্রীরা নিস্তার পাবেন না। এ জন্য নানা মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে দুর্ভোগ কমে আসবে।
সুজন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেলের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। এবারের বাজেটেও ৫ম সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেল বিভাগে দেয়া হয়েছে। সরকার অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে খুলনা-মোংলায় ট্রেনে চলবে। আর আগামী বছর ঢাকা থেকে কক্সবাজার, ঢাকা থেকে ভাঙা হয়ে ফরিদপুর পর্যন্ত ট্রেন চলবে বলে আমরা আশাবাদী।’
যাত্রীদের দুর্ভোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এবার জয়দেবপুর থেকে স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে ঈদযাত্রার টিকিট দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও ঢাকা ৬টি আগাম টিকিট কেন্দ্রে কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও প্রচণ্ড ভিড়। অনেকে অভিযোগ করছেন টিকিট পাচ্ছেন না। চাহিদার তুলনায় সক্ষমতা কম থাকায় এই অভিযোগগুলো আসছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি। মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হলে দুর্ভোগ কমে আসবে।