লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাসে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি এমরান হোসেনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতারের পর কারাগার প্রেরণ করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। রবিবার বেলা ৩টার দিকে ওই আসামিকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে শনিবার রাত ১টার দিকে তাকে চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। এমরান রামগঞ্জ পৌরসভার কাজীরখীল গ্রামের আখন্দ বাড়ির বেলাল হোসেনের ছেলে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানায়, গত ৩ জুন এক গৃহবধূ চাটখিল থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাওয়ার পরিবর্তে ভুলে রামগঞ্জগামী পরিবহনে উঠেন। পরে রামগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে আসলে তিনি বাসের সুপার ভাইজারকে বিষয়টি বলেন। পরে সুপারভাইজার তাকে চট্টগ্রামগামী নীলাচল বাসে বসতে বলেন। এ সুযোগে বাসের সহকারী আজাদ হোসেন ও এমরান হোসেনসহ ৩ জন ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এসময় তার চিৎকারে বাজারের নৈশপ্রহরী মো. শাহজাহান ছুটে আসলে আজাদ ছাড়া অন্য দুইজন পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজনও এগিয়ে আসে। হঠাৎ নৈশপ্রহরী শাহজাহানের বুকে ব্যাথা উঠলে হাসপাতাল নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাস সহকারী আজাদকে আটক করে।
পরে গৃহবধূ বাদী হয়ে আজাদ ও এমরানসহ ৩ জনের নামে রামগঞ্জ থানায় ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন আজাদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে প্রায় ১ মাস পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমরানকে গ্রেফতার করে বলে জানান ওসি।