হবিগঞ্জের মাধবপুরে খোশনাহার (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়ে। শনিবার সকালে উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ফরহাদপুর গ্রামের বাবার বাড়ির সামনে থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত খোশনাহার ওই গ্রামের নূর আলীর মেয়ে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তার স্বামী তাজুল ইসলাম ও সতীন সালমা বেগম শুক্রবার রাতের যেকোনো সময় খুন করে খোশনাহারের বাবার বাড়ির বসত ঘরের দরজার সামনে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
খোশনাহারের মা সাফিয়া খাতুন ও বোন সামসুন্নাহার বলেন, প্রায় ৩ মাস আগে ফরহাদপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের সাথে খোশনাহারের দ্বিতীয় বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে খোশনাহার তাজুল ইসলাম ওই গ্রামের খোশনাহারে বাবা নূর আলীর বাড়িতে একত্রে বসবাস করতো। দ্বিতীয় বিবাহ করার কারনে সতীন সালমা বেগম, খোশনাহার ও তার স্বামী তাজুল ইসলামকে ঘিরে পারিবারিক কলহ ছিল।
তাদের অভিযোগ, স্বামী তাজুল ইসলাম ও সতীন সালমা বেগম শুক্রবার রাতে খোশনাহারের গলায়, মাথায় ও চোখে আঘাত করে খুন করেছে। শনিবার সকালে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায়, খোশনাহারের রক্তাক্ত মরদেহ বসত ঘরের দরজার সামনে পড়ে রয়েছে। এছাড়া ঘটনার পর থেকে স্বামী তাজুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী সামলা বেগম আত্মগোপনে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে ২০ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাইশমৌজা গ্রামে খোশনাহারের প্রথম বিবাহ হয়। ওই সংসারে রিপন নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি বর্তমানে দুবাই প্রবাসী।
খোশনাহারের মরদেহ সুরতহাল প্রস্তুতকারী মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ীর এস আই জাকারিকা জানান, খোশনাহারের চোখে, গলায়, কানে, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান চৌধুরী জানান, এটি নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।