Common ক্রিকেট খেলাধুলা

ঈদ আনন্দ আর জয়ের আনন্দ মিলে-মিশে একাকার

ওডিআই ফরমেটে বাংলাদেশ কতটা স্বাভাবিক পারফর্ম করে সেটা আজ মধ্য রাতে স্বাগতিক ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বুঝিয়ে দিল। ঈদের আনন্দ আর জয়ের আনন্দ, মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।

টেস্ট ও টি-২০ ফরম্যাটে প্রত্যাশা আর ফলাফল এক হয়নি। কিন্তু ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরতেই চেনা রূপে বাংলাদেশ। কোরবানী ঈদের দিন তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে সহজ জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তামিম ইকবালের দল।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে এসেছিল ৪১ ওভারে। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করেছিল উইন্ডিজ। জবাবে ৬ উইকেট ও ৫৫ বল হাতে রেখেই জয় পায় বাংলাদেশ।

উইন্ডিজের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাত্র ১ রানে আউট হন লিটন। এরপর আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল। ২৫ বলে ৩৩ রান করা এই ওপেনারের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে রান আউটের মাধ্যমে।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৯৮ রান। তবে এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগাররা।

নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৭ রানে আউট হওয়ার পর তার জায়গায় নামা আফিফ হোসেন সাজঘরে ফেরেন ৯ রানে। নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে বাকী পথ সহজেই পাড়ি দেন রিয়াদ। এই দুজন অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ২০ ও ৪১ রানে।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন তামিম ইকবাল। বল হাতে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই টাইগারদের উইকেট এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান শাই হোপকে ০ রানে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান তিনি।

এর মাধ্যমে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন মুস্তাফিজ। এই উইকেটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই পেসার। শুরুতেই উইকেট শিকারের পর বাকী বোলাররাও উইন্ডিজ ব্যাটারদের চেপে ধরে।

রান করতে স্বাগতিক ব্যাটারদের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে। দ্বাদশ ওভারে আসে দ্বিতীয় সাফল্য। এবার আরেক ওপেনার কাইল মেয়ার্সকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি করেন ১০ রান।

বেকায়দায় থাকা স্বাগতিকদের শিবিরে ২১তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। এই ওভারে পরপর দুই বলে যথাক্রমে ৩৩ রান করা শামরাহ ব্রুকস ও ৮ রান করা ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান তিনি। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও অবশ্য এই স্বাদ পাননি টাইগার পেসার।

এরপর নিকোলাস পুরান ১৮ ও রোমারিও শেফার্ড ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরলে ১১০ রানেই ৯ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। কিন্তু পরবর্তীতে টাইগার ফিল্ডারদের একেরপর এক ক্যাচ মিসে শেষটা দারুণ হয় স্বাগতিকদের।

শেষ উইকেট জুটিতে চারবার জীবন পেয়ে ৩৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও জেডেন সিলস। দুজনে অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ২১ ও ১৬ রানে।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এদিন বল হাতে ছড়ি ঘুরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তিনি একাই ৪ উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া মেহেদী মিরাজ ৩ ও মুস্তাফিজ একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেছেন এ ম্যাচে অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ। ৮ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান দিয়েছেন তিনি।