জাতীয়

বুকে লাথি দেন এসআই, পুলিশের মারধরে মৃত্যু; অভিযোগ বাদীর

মাগুরার শ্রীপুরের ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ডে সালাম শেখ (৫০) নামের কাউন্টারকর্মীর মৃত্যুতে পাঁচ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী। আজ সোমবার দুপুরে যমুনা বেগম বাদী হয়ে মাগুরার বিজ্ঞ শ্রীপুর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগ, শনিবার বিকেলে পুলিশের মারপিটে তার স্বামীর মৃত্যু হয়।

নিহত সালাম শেখ শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে। হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন মাগুরা পুলিশের এসআই জামাল হোসেন, নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জসিম উদ্দিন, এএসআই ভবেন বিশ্বাস, ফাঁড়ি পুলিশের ভ্যান ড্রাইভার নাজমুল হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, শনিবার বিকেলে বাসস্ট্যান্ডের নুপুর পরিবহনের টিকেট কাউন্টারে টিকিট কেনাবেচা নিয়ে রাশেদুল নামের এক যাত্রীর সঙ্গে সালাম শেখের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় রাশেদুল মোবাইল ফোনে নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানালে নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জামাল হোসেন পুলিশের একটি দল নিয়ে সেখানে আসেন। জামাল হোসেন সেখানে এসে সালাম শেখকে বুকে লাথি মেরে মাঠিতে ফেলে দেন। এ সময় সব আসামি মিলে সালাম শেখের শরীরের আঘাত করেন। এ ছাড়া আসামিরা মারধর করতে করতে সালাম শেখকে পুলিশ ভ্যানে তুলে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ফাঁড়িতে নিয়ে সালাম শেখকে আবার মারধর করা হলে তিনি মারা যান।

আদালতের বিজ্ঞ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় বাদীর বক্তব্য শুনে মামলাটি শ্রীপুর থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপপরিদর্শক জামাল হোসেনকে শনিবার সন্ধ্যায় ফাঁড়ি থেকে ক্লোজ করে মাগুরা পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ করিমুল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।