প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমাদের উপরে আরোপিত ক্ষমতার কমান্ড আমার হাতে, শক্তিটা পুলিশের হাতে, বিজিবির হাতে, সেনাবাহিনীর হাতে। শক্তি আমার হাতে নয়, কমান্ডটা আমার হাতে আছে। আমরা কমান্ড করলে যেন শক্তিটা রেসপন্স করে সে ধরনের অবস্থা আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনের প্রয়োজনেই সেটি প্রয়োজন।
সোমবার বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাথে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দলটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজার নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে যায়।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের সময় যেটা হবে, তখন সরকার থাকবে। যে সরকারই হোক, একটা সরকার তো থাকবে। সরকার আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা সরকারের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারবো। আমরা বলবো এই এই সহযোগিতাগুলো আমাদের দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি সরকার তখন ‘না’ করতে পারবেন না, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাধ্য অসীম নয়। অংশীজনের সহযোগিতা লাগবে। রাজনৈতিক সহমত, রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায়। আপনারা ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসটা নেন।
সিইসি বলেন, আপনারা যারা রাজনৈতিক শক্তিগুলো আছেন, আপনারাও চেষ্টা করে যান, যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ অনুকূল হয়। এ জন্য সব দলেরই আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন। যে করেই হোক জিততেই হবে, কোনোভাবেই হারব না। এই মানসিকতা দূর করতে হবে। নির্বাচন হলে সবাই জিতবে না। অনেকেই হারবে, একজন জিতবে। এই বাস্তবতা মেনে নেয়ার মানসিক শক্তি রাখতে হবে সবাইকে।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, আমাদের ভূমিকা রেফারির মতো। খেলোয়াড় আপনারা। এখন খেলোয়াড়দের মধ্যে সমঝোতা না হলে খেলায় লাল কার্ড, হলুদ কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যায়।