দেশবার্তা

বাগেরহাটের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নামে সড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা গরু চুরির মামলা দেওযায় ভুক্তভ’গীরা ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ।

বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবুঃ বাগেরহাটের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নামে সড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা গরু চুরির মামলা দেওযায় ভুক্তভ’গীরা ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে । এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচার চেয়ে জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার দক্ষিন সুতালড়ী ভাষান্ডা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বেপারীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম ২৫ জুলাই সোমবার প্রধান মন্ত্রী ও পুলিশের মহা পরিদর্শক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

লিখিত আবেদনে জানাযায়, ইং ৪ জুন ২০২২ তারিখ মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিশান বাড়ীয়া ইউনিয়নের ঝিউধরা গ্রামের দুলাল জোমাদ্দারের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম চার জনকে আসামী করে

 

মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি গরুচুরি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় বাদী একই থানার বারইখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সুতলড়ী ভাষান্ডা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ব্যাপারীর স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী মর্জিনা বেগম(৪৪) কে হয়রানী করতে গরুচুরি মামলায় আসামী করেন। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ব্যাপারীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমার দুই জন কলেজ পড়ুয়া কন্যা ও স্কুল পড়ুয়া এক পুত্র সন্তান রয়েছে। আমার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুলাল কাজীর সাথে বহু পূর্বে থেকে পৈএিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ইউপি সদস্য দুলাল কাজী সমাজে হেয় ও আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর দূর্নাম এবং আমার সন্তানদের ভবিষ্যাত নষ্ট করতে মিথ্যা গরু চুরি মামলা করেছে। মর্জিনা বেগম আরো অভিযোগ করে বলেন ইউপি সদস্য এই গরু চুরি মামলার অন্যতম স্বাক্ষী রয়েছে। প্রকৃত পক্ষে আমার ছোট ভাই তার গুয়ালের একটি গরু পহেলা রমজানে তার বাড়ীতে জবাই করে মাংস বিক্রী করে এবং এই গরুর মাংস ইউপি সদস্য দুলাল কাজী ও ক্রয় করেও খেয়েছিলেন।

 

এবিষয়ে ইউপি সদস্য সাংবাদিকদের জানান , আমি মর্জিনা বেগমের ভাইয়ের বাড়ীতে জবাই করা গরুর মাংস ক্রয় করেও খেয়েছি। তবে আমি দেখি নাই এবং শুনেছি আমাদের পাশবর্তী জিউধারা ইউনিয়নের এক মহিলা থানায় গরু চুরি মামলা করেছে। তবে আমি ঐ গরু চুরির বাদীকে চিনিনা এবং আমি তার গরু চুরি করতে দেখিনাই এবং আমি শুনেছি এই মামলায় আমাকে স্বাক্ষী রাখা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ খবর নিতে এলাকায় গিয়ে কথা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর খাঁ (৭৫), রফিজ উদ্দিন(৭০), মোজাম (৮০), ঘের মালিক মহাসিন খাঁ (৪০)এবং নামুল হাওলাদার (৬৫) বলেন, ইউপি সদস্য দুলাল কাজীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সাখাওয়াত হোসেন ব্যাপারীর পরিবারের পৈএিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে এবং মুক্তিযোদ্ধা মো: সাখাওয়াত হোসেন এর স্ত্রী মর্জিনাকে হেয় করতে ইউপি সদস্য দুলাল কাজী দীর্ঘ্য দিন ধরে নানা প্রকারের অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে আসছে। অনেক আগে থেকেই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে পৈএিক জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে এবং মুক্তিযোদ্ধা মো: সাখাওয়াত হোসেনর স্ত্রী মর্জিনাকে হেয় করতে ইউপি সদস্য দুলালগাজী নিজে স্বাক্ষীসেজে চুরি মামলা করিয়েছে।