Common

বাগেরহাটে মহাজনী প্রথাচালু করেছে এনজিও রেঁনেসা ঋনের জালায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে হালি শহর খালিশপুরের মানুষেরা

রুহুল আমিন বাবু বাগেরহাট প্রতিনিধি-এটা কোন রুপ কথা নয় শুনলেই গা সিরিয়ে ওঠে। ছোটবেলায় দাদা দাদিদের মুখে শোনা একশ্রেনির মহাজন সুদেটাকাদিত সাধারন মানুষকে আর বছর গেলেই জমির সব ফসল কেটে নিয়েযেত মহাজনরা। এ রকমই রুপ কথারমত ঘটনা বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা হালিশহর এলাকায় রেঁনেসা নামেক একটি বেসরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। রেঁনেসা বাগেরহাট সদর উপজেলা ও চিতলমারী উপজেলার বডারে হালিশহর গ্রামে অবস্থিত। হালিশহর গরিব, অসহায় ও হিন্দুঅধ্যাশিত এলাকা হওয়ায় রেঁনেসা এন্টার প্রাইজ নামেক এই এনজিওটি এলাকার সাধারন মানুষকে লক্ষ,লক্ষ টাকা ঋন দিয়ে আসছে অসহায় গরিব মানুষদের। আর তাদের কাছ থেকে দ্বীগুন সুদ নিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান টি। এক লক্ষ টাকা লোন দিয়ে ১২ মাসে দুই লক্ষ টাকা আদায় করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের পক্ষে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইতিমধ্যেই এ বিষয় তদন্ত করেছেন। তিনি রেঁনেসার মাইক্রো কেডিট অথরেটির কোন অনুমোদন পাই নি । ঋন প্রগ্রাম করার কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি রেঁনেসা কর্তৃপক্ষ। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে রিতিমত ঋন প্রগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে রেঁনেসা। হালি শহর খালিশ পুরের সাধারন মানুষ রেঁনেশার ঋনের জালা সইতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের হস্ত্যক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগীরা।

 

এবিষয়ে হালিশহর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীশচন্দ্র বালা জানান, রেঁনেসা এন্টার প্রাইজ নামের এই এনজিওর হালিশহর এলাকায় প্রায় দুই হাজার গ্রাহক রয়েছে প্রত্যেকেই এনজিওর কাছথেকে চড়া সুদে ঋন নিয়ে মাছ, মুরগী চাষ করছে। যখন যে টাকা ঋন আনা হয় পাশ বইতে তার ডবল লেখা হয়। আর এই টাকা দিতে না পেরে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীশচন্দ্র আরো বলেন আমি নিজে ২ লক্ষটাকা নিয়েছিলাম আমার স্বাক্ষরীত ফাঁকা চেকের পাতা নিয়েছে । আমি একবছরে ৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছি তার পরও আমার চেকের পাতা ফেরত পাই নাই।

 

এবিষয়ে হালিশহর গ্রামের অটোচালক জ্ঞানেন্দ্র নাথ বালা বলেন আমি ৯৫ হাজার টাকা ঋন গ্রহন করি রেঁনেসা এন্টার প্রাইজ এর কাছ থেকে । পাশ বইতে দেখি দুই লক্ষটাকা ঋন গ্রহন উল্লেখ করা হয়। রেঁনেসা এন্টার প্রাইজ আমার কাছ থেকে স্বাক্ষরিত একটি ব্ল্যাংক চেকের পাতা নিয়েছে। এই ঋনের টাকার জন্য আমার পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। হালিসহর গ্রামের স্মৃতী কনা বালা বলেন, আমার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচের জন্য রেঁনেসা এন্টার প্রাইজ এর কাছ থেকে এক লক্ষটাকা ঋন গ্রহন করি। পাশ বইতে লেখা আমি তাদের কাছ থেকে দুই লক্ষটাকা গ্রহন করেছি। পরবর্তীতে কিস্তি আকারে পরিশোধ করতে থাকি রেনেসার কর্মীদের অত্যাচারে এক পর্যায়ে আমার কিছু জমি বন্ধক রেখে তাদের কিস্তি পরিশোধ করি।

 

এ বিষয়ে রেঁনেসা এন্টার প্রাইজ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আনন্দ মোহন বিশ^াস দ্বীগুন সুদের কথা স্বীকার করে বলেন চার বছরে দ্বীগুন সুদ নিয়ে থাকি। তবে রেঁনেসার মাইক্রোকেডিট রেগুলেটরি অথারিটির কর্তৃক কোন অনুমোদন নাই বলে তিনি জানান।

 

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মুসাব্বেরুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেছি রেঁনেসা এন্টার প্রাইজ জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানি এন্ড ফার্ম এর রেজিষ্টেশন ভ’ক্ত। ঋন প্রদানের বিষয়ে মাইক্রোকেডিট রেগুলেটরি অথারিটির কর্তৃক কোন অনুমোদন নাই। সংস্থাটি সম্পূর্ন বেআইনি ভাবে ঋন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। #