ডলার সংকট আরও প্রকট হয়েছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে মঙ্গলবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। সোমবার বিক্রি করেছে ৫ কোটি ডলার। রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রেখেছে।
সূত্র জানায়, চলতি আগস্টের দুদিনে রিজার্ভ থেকে বাজারে ছাড়া হয়েছে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের এক মাস ২ দিনে রিজার্ভ থেকে ছাড়া হয়েছে ১১৮ কোটি ডলার। এর আগে গত অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ছাড়া হয়েছে ৭৬৫ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে ও চলতি অর্থবছরের এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে কোনো ডলার কেনেনি। কারণ বাজারে চাহিদার তুলনায় ডলারের সরবরাহ নেই। যে কারণে সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজারে ডলারের প্রবাহ বেশি থাকায় ৭৯৪ কোটি ডলার বাজার থেকে কিনেছিল। এর বিপরীতে বিক্রি করেছিল মাত্র ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করায় এর মজুত কমে যাচ্ছে। গত বছরের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উঠেছিল। ওই মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছিল ৬৫ শতাংশ। যে কারণে ওই মাস থেকেই রিজার্ভ কমতে থাকে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ কমে ৪ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে আসে। মঙ্গলবার রিজার্ভ আরও কমে ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি ডলারে নেমে আসে।
এদিকে জুলাইয়ে এলসি খোলার হার কমলেও জুনে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে। করোনার পর বৈশ্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসা খাতে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ বেড়েছে। এতে ডলারের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়ার সঙ্গে ব্যয়ও বেড়েছে। ফলে টাকার মান প্রচণ্ড চাপে রয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে। আমদানির জন্য ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছে ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৭৫ পয়সা দরে।