Common ক্রিকেট খেলাধুলা

জিম্বাবুয়ে বুঝিয়ে দিল র‌্যাঙ্কিং কোন বিষয় নয়

৩০৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ে শুরুতে হোচট খেলেও এরপর যা দেখালো তা বহু দিন মনে রাখবে বাংলাদেশ। ৩৯ ওভার শেষে ২৩৫/৩, ক্যাৈইয়ার নামের পাশে ১১৫ বলে ১০০ আর সেকান্দর রাজার নামের পাশে ৮১ বলে ১০০! ৪০ ওভার শেষে সেটা হয়ে গেল ৬০ বলে ৬২ রান দরকার বাংলাদেশকে হারাতে। অথচ শুরুতে ২ , ৬ ও ৬২ রানে তিন উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ৪র্থ উইকেট জুটিতে এতোটা পথ পাড়ি দেবে সেটা অজানাই ছিল।

৪৮.২ ওভারে সেকান্দর রাজা বিশাল এক ছক্ক্ মারলেন, বল মাঠের বাইরে আছড়ে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে রাজা দুই হাত বাতাসে আঘাত করতে শুরু করে। বাংলাদেশর বিপক্ষে জয়ের আনন্দে রাজা যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে। ১০ বল না খেলেই জিম্বাবুয়ে রাজার ব্যাটে ভর দিয়ে ৫ উইকেটের জয় পেল। রাজা ১০৯ বলে ১৩৫ রানে অপরাজিত।

আইসিসির ৭ নম্বর দল বাংলাদেশকে ১৫তম দল জিস্বাবুয়ে টেনে নামিয়ে আনল মাটিতে। ৫ উইকেটে জয় তুলে জিম্বাবুয়ে বুঝিয়ে দিল র‌্যাঙ্কিং কোন বিষয় নয়।

টানা তিন ক্যাচ মিস, বাজে ফিল্ডিং,সঙ্গে নিম্ন-মানের বোলিং ছিল বাংলাদেশের হারের মুল কারণ। এটাও সত্য জিম্বাবুয়ে উন্নতি করেছে। এমন তো যে বাংলাদেশ দুর্বল দল নিয়ে মাঠে নেমেছে। সাকিব ছাড়া তো সবাই ছিল। এর মানে আইসিসির র‌্যাঙ্কিং বাদ দিলে জিম্বাবুয়ে এখন বাংলোদেশের চেয়ে ভাল দল।

বাংলাদেশ নিজেদের ওডিআই ইতিহাসে প্রথম বার ২ উইকেটে তিন শত রানের সীমানা পেরিয়েছে। স্কোরবোর্ডে টানা চার ফিফটি! তামিম ৬২, লিটন আহত ৮১, এনামুল হক ৭৩, মুশফিক অপরাজিত ৫২ আর রিয়াদ অপরাজিত ১২ বলে ২০ রান, ৫০ ওভার শেষে স্কোর ৩০৩/২।

৩০৪ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ের ৬২ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ক্যাইয়া আর রাজার একাধিক ক্যাচ মিস ছিল দৃষ্টিকটু। এই জটি কিছুতেই ভাঙ্গা যাচ্ছিল না। ৪১.৫ ওভার অবদি অপেক্ষা করতে হলো টাইগার বোলারদের এই জুটি ফেরাতে। ১২২ বলে ১১০ রানে থাকা ক্যাইয়া সৈকতের ৪তৃথ ডেলিভারিতে বিজয় স্ট্যাম্পিং করতে ব্যর্থ হলেন। পরের বলে ৫ম বলে ক্যাচ দিলেন শরিফুলের হাতে। তখন ৫০ বলে ৫০ রান দরকার জয় পেতে।

তাতে কি! ক্রিজে তো জিম্বাবুয়ের মুল ভরসা সেকান্দর রাজা আছে। তেড়ে-ফুড়ে টাইগার বোলারদের তুরধূন করছেন রাজা। ক্যাইয়া ফিরে গেলে রাজার ব্যাটে ভর দিয়ে বাংলাদেশের বোলারকে চেপ্টা করে স্কোর নিয়ে গেলেন ৪৫ ওভার  শেষে ২৭৫/৪, রাজা ১২৩ রানে র‌্যাট করছেন।

৪০ ওভারের পর থেকে জিম্বাবুয়ে সব সময় রান ৩ বলের হিসেবে এগিয়ে ছিল। রানের চেয়ে তাদের হাতে তিন বেশি জমা ছিল। রাজাকার বার-ছক্কার মারে ৩০৪ রানের জবাবটা জিম্বাবুেয়ে ১০ বল না খেলেই দিয়েছে।