আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানি বান্ধবীর সঙ্গে ছবি পোস্ট, প্রশংসায় ভাসছেন ভারতীয় তরুণী

পাকিস্তানি এক বান্ধবীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন ভারতীয় এক তরুণী। আর এতেই তুলকালাম। ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে ছবিটি। তাদের বন্ধুত্ব এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে।

দুইজনই পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে। যে ছবি পোস্ট করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে দুজন দুই দেশের (ভারত ও পাকিস্তান) পতাকা ধরে আছেন। খবর বিবিসির।

স্নেহা বিশ্বাস নামের ওই ভারতীয় তরুণী জানান, পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্বের পর দেশটির সম্পর্কে তার ধারণা বদলে গেছে।

যদিও দশকের পর দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অতিমাত্রায় বৈরী।

ভারত পাকিস্তানের শিল্পী ও ক্রিকেটারদের সে দেশে পারফরম্যান্স ও খেলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর পাকিস্তান নিষিদ্ধ করেছে বলিউডের চলচ্চিত্র।
লিংকডইনে পোস্ট করা স্নেহার ছবির নিচে একজন লেখেন, ‘আমরা আমাদের মধ্যে দেয়াল তুলেছি, এ দেয়াল ভেঙে ফেলার দায়িত্ব আমাদেরই।’

স্নেহা একজন উদ্যোক্তা। যদিও তিনি তার পাকিস্তানি বান্ধবীর নাম উল্লেখ করেননি।

ওই পোস্টে তিনি লেখেন, তিনি একটি ছোট শহরে বেড়ে ওঠেছেন। পাকিস্তান ও সে দেশের মানুষ সম্পর্কে তার ধারণা ছিল কম। যা জেনেছেন তা বই পড়ে ও মিডিয়ার মাধ্যমে। এসব ছিল ঘৃণায় পরিপূর্ণ। এর পর হার্ভার্ডে প্রথম দিন পাকিস্তানের ওই তরুণীর সঙ্গে তার দেখা। সে এসেছে ইসলামাবাদ থেকে। তখন থেকেই তারা এখনো ভালো বন্ধু। এর পর তারা একসঙ্গে চা, বিরিয়ানি খাওয়া, আর্থিক মডেল ও কেস স্টাডি প্রস্তুতির মধ্যে নিজেদের সম্পর্কে জেনেছে ভালোভাবে।

স্নেহা বলেন, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, যখন আপনার স্বতন্ত্র জাতির জন্য গর্ব দৃঢ় থাকে, তখন মানুষের প্রতি আপনার ভালোবাসা ভৌগলিক ও সীমানা অতিক্রম করে। দেয়ালা, সীমানা ও স্থান এসব মানুষের তৈরি করা।

এ পোস্টে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভেদের বাঁধ ভাঙার বিষয়ে কথা বলেন স্নেহা।

ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের আগে এ ছবি দুই দেশেই বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। ১৪ ও ১৫ আগস্ট দুই দেশ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। দুই দেশের স্বাধীনতা ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর এ দেশবিভাগকে কেন্দ্র করে রয়েছে রক্তাক্ত ইতিহাস। যাকে দুই দেশের শত্রুতার বীজ হিসেবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।