পাবনায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সুজন হোসেন (৩০) নামে একজন হিজবুত তাওহীদ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৪ আগস্ট) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে চরঘোষপুর নফসারের মোড় একটি সেলুনের দোকানে তার ুপর হামলার এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন সদর উপজেলা হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর মধ্যপড়া এলাকার আনিছুর রহমান মন্ডলের ছেলে ও হিজবুত তাওহীদ পাবনা জেলা শাখার সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, সুজন সেলুনের দোকানে চুল কাটাচ্ছিলো। এ সময় কিছু লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করে তুই মাথার চুল কাটালি কিন্তু দাড়ি মুচ কাটালি না কেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে কিছু দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র ও লাটিসোটা দিয়ে মারপিট শুরু করে। তার চিৎকার স্থানীয় লোকজন জড়ো হয় এবং তাকে উদ্ধোর করে হাসপাতালে ভর্তি করে। অধিক রক্তপাত হওয়ায় তার শরীরের অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এলাকায় চুলকাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে উদ্ধার করে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ভোরে দিকে মারা যায়। বর্তমানে লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।