কক্সবাজারে স্কুল শিক্ষিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮), কক্সবাজার সদরের উত্তর তারানিয়াপাড়ার দিল মোহাম্মদের ছেলে মোস্তাক মিয়া (২৪) ও খরুলিয়া এলাকার মৃত রশিদ আহমেদের ছেলে বেলাল উদ্দিন (২২)। তাদের মধ্যে বেদার মিয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
আজ বুধবার দুপুরে র্যাব-১৫-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ জানান, গত ১৯ আগস্ট একজন স্কুল শিক্ষিকাকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মিলে ধর্ষণ করে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত বেদার মিয়া ও তার তিন সহযোগীসহ ভিকটিমকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৩ আগস্ট ভিকটিম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র্যাব বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাদের কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নে এক আত্মীয়ের মেহেদি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ওই স্কুল শিক্ষিকা। অনুষ্ঠানে কথা হয় বেদার মিয়ার সঙ্গে। পরদিন সকাল ৭টার দিকে স্বজনের বাড়ি থেকে ইজি বাইকে করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক স্থানে বেদার ও তার সহযোগীরা ইজি বাইক থামান। এরপর দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শিক্ষিকাকে ইউনিয়নের চান্দেরপাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে তারা ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষিকার চিৎকারে তারা পালিয়ে যান।