গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ একজনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল এবং বেশ কিছু ইয়াবা টেবলেট ও হেরোইন জব্দ করা হয়। অভিযানকালে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) আবু সায়েম নয়ন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাজীপুর মহানগরের সদর থানাধীন উত্তর ছায়াবিথী এলাকার আতর আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ (৪৫) এবং একই থানার পশ্চিম জয়দেবপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে সোহেল চৌধুরী ওরফে মদন সোহেল (২৭)। এদের মধ্যে বিভিন্ন আজিজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশী এবং সোহেলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
জিএমপি’র ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন পূর্ব ভুরুলিয়ার শ্মশানঘাট এলাকায় টিনের বাউন্ডারি বেষ্টিত একটি প্লটে বসে অস্ত্রধারী ক’মাদক ব্যবসায়ী বৃহষ্পতিবার দিবাগত মধ্য রাতে মাদক কেনা বেচা করছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশের দু’টি দল সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে আজিজ বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আজিজ ও তার সহযোগি সোহেলকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে আজিজের কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল ও ২৬ গ্রাম হেরোইন এবং সোহেলের কাছ থেকে দেড়শ’ পিছ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে মাদক ব্যবসায়ীদের লোহার পাইপের আঘাতে কনস্টেবল মোঃ শাহীন আহত হন। আহত শাহীন ও আজিজকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য ৭ রাউন্ড রাবার কার্তুজ ও ৪ রাউন্ড সিসা কার্তুজসহ মোট ১১ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।