পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাচ্চাসহ বের করে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই পেসারের স্ত্রী ইসরাত জাহানের মামলায় তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ শুরু করলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পালিয়েছেন এ ক্রিকেটার।
বৃহস্পতিবার মিরপুর থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। এর ভিত্তিতে শুক্রবার মামলা আকারে নথিভুক্ত হয়। তবে ঐদিনই মিরপুর-২ নম্বর রোডে আল আমিনের বাসায় গিয়ে পুলিশ তাকে পায়নি। পালিয়েছেন তিনি। আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের মামা মো. সাঈদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই আল আমিন পলাতক রয়েছেন। বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আর বাসায় ফেরেননি। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে পুলিশ খুঁজলেও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা জানান, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাচ্চাসহ বের করে দেওয়ার অভিযোগে এজাহারভুক্ত আসামি আল আমিন হোসেন পলাতক রয়েছেন। তার বাসাতেও পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
অন্য মেয়ের সঙ্গে আল আমিনের সম্পর্কের বিষয়ে ইসরাত জাহান বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে আল আমিনের বিয়ে হয়েছে কি না, তা জানি না। কাবিননামাও পাইনি। তবে ওই মেয়ের সঙ্গে আল আমিনের অনেক ছবি আছে।
তিনি বলেন, দুটো বাচ্চা নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো? আমার এখন একটাই চাওয়া, বাচ্চাদের নিয়ে যেন ভালোভাবে সংসার করতে পারি।
ইসরাত জাহানের মামা মো. সাঈদ জানান, গত দুই বছর ধরে ক্রিকেটার আল আমিন হোসেন আমার ভাগ্নিকে নির্যাতন করতেন। এর আগেও থানায় নির্যাতনের অভিযোগে জিডি করা হয়েছিল। গত ২৫ আগস্ট মারধর করে বাসা থেকে বাচ্চাসহ ইসরাতকে বের করে দেন। এরপর মিরপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ইসরাত।