৭ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে পার্বত্য ভূমি কমিশনের বৈঠক প্রতিহত করাসহ ৭ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহর এলাকায় টানা ৩২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
সোমবার দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এ হরতালের ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলমগীর কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনিসুজ্জামান ডালিম, রাঙামাটি জেলা সভাপতি নাদিরুদ জামান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক লাভলী আক্তার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে; জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির ওপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারাসমূহ বাতিল করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে; কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারনে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে ও বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।