পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতলো শ্রীলংকা। শ্রীলংকার দেয়া ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম সারির সব ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত পরাজয় বরণ করতে হলো পাকিস্তানকে।
লংকান ইনিংসের ৩ নম্বর ওভার করতে আসেন মাধুসানা। বোলিংয়ে এসেই দুই ডেশিং ব্যাটার বাবর আজম ও ফখর জামানের উইকেট তুলে নেন তিনি। বাবর কে মাধু সানাকার হাতে ও ফখর জামানকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন মাধুসানা। বাবর ৫ রান ও ফখর জামান ০ রানে আউট হোন। এরইমধ্যে ১৩.২ ওভার পর্যন্ত ভালোই লড়ে যাচ্ছিলেন রিজওয়ান ও ইফতেখার। কিন্তু এর পরই মাধুসানার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আশিন বান্দারার হতে ইফতেখারের উইকেট হারায় পাকিস্তান। আউট হওয়ার আগে ইফতেখার করেন ৩২ রান।
এদিকে রিজওয়ান দলের হাল ধরে খেললেও ফিফটি করার পর আর বেশিক্ষন থিতু হতে পারেননি। হাসারাঙার বলে গুনাথিলাকার হাতে ধরা পড়েন তিনি। তারপর মাঠে উঠেই হাসারাঙার পরের বলেই ০ রানে ফিরে যান আসিফ আলী। যেন বাকিরা আসা যাওয়ার মধ্যেই আছেন। এরপরই ৮ রানে সাদাব খান আউট হলে দলের হার অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের।
এর আগে শুরুতেই পেসার মাধু সানাকার হাতে বল তুলে দেন দাসুন শানাকা। প্রথম বলটিই ওভার স্টেপিংয়ে নো দেন মাধু। ফলে ফ্রি হিট পেয়ে যায় পাকিস্তান।পরের বল ফ্রি-হিট বাঁচাতে গিয়ে ওয়াইড দিয়ে বসেন মাধু। দ্বিতীয় বল আবারও ওয়াইড দিলেন তিনি। তৃতীয় বলটি তো ওয়াইড দিলেনই, বলটি লেগ স্ট্যাম্পের এত বাইরে ছিল যে, উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস ঝাঁপিয়ে পড়েও বল রক্ষা করতে পারলেন না। বল চলে গেলো বাউন্ডারির বাইরে । এই বল থেকে ৫ রান যোগ হয় পাকিস্তানের স্কোর বোর্ডে।
কি আর করা যেন বলের নিয়ন্ত্রনই নিতে পারছিলেন না। যে কারণে পরের বলটিও দিলেন ওয়াইড। টানা ৫টি ডেলিভারি দিয়েও কোনো সঠিক বল করতে পারেননি তিনি। উল্টো রান দিলেন ৯টি।
আর তাতেই পাকিস্তান ২ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫ রান সংগ্রহ করে। এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শ্রীলংকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ডাক মেরেছিলেন মেন্ডিস। এই ম্যাচেও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্রথম বলেই এই ওপেনারকে বোল্ড করেন নাসিম শাহ।
আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও এদিন খুব বেশি রান করতে পারেননি। ৮ রান করে বাবর আজমের তালুবন্দী হন তিনি। বোলার ছিলেন হারিস রউফ। একই বোলার ফেরান এক রান করা দানুশকা গুনাথিলাকাকে।
পার্ট টাইম বোলার ইফতিখার আহমেদ এসে আউট করেন ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে। তিনি ২১ বলে ২৮ রান করেন। লংকান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে বোল্ড করে বড় ধাক্কা দেন শাদাব খান।
মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের শঙ্কায় কাঁপছিল শ্রীলংকা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ভানুকা রাজাপাকশে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দুজনে মিলে গড়েন ৫৮ রানের জুটি।
হারিস রউফের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২১ বলে ৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন হাসারাঙ্গা। এরপর দলকে এগিয়ে নেয়ার পথে অর্ধশতকের দেখা পান রাজাপাকশে। ৩৫ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৭১ রান করেন রাজাপাকশে। অন্যপ্রান্তে করুণারত্নে অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ তিনটি এবং নাসিম, শাদাব ও ইফতিখার একটি করে উইকেট নেন।