ভারতের গুজরাটের ১০ কেচি গরুর মাংস উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। গুজরাটের সুরতে একটি রেস্তোরাঁয় কাঁচা গরুর মাংস রাখার অভিযোগ পায় পুলিশ বিভাগ। এ ঘটনায় গুজরাট পুলিশ রেস্তোরার ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে।
সুরতে রেস্তোরার ফ্রিজে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মাংস রাখা ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারির পাশাপাশি মাংসও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কলকাতার আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১১ সেপ্টেম্বর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুরতের লালগেট থানার পুলিশ হোদি বাংলো এলাকার একটি রেস্তরাঁয় হানা দেয়। রেস্তরাঁর ফ্রিজ খুললে দেখা যায়, তাতে রয়েছে ছ’টি প্লাস্টিকের ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুললে দেখা যায় তাতে রয়েছে কাঁচা মাংস।
পুলিশ এর পর সুরতের পশু চিকিৎসা বিভাগে খবর দেয়। পরীক্ষা করে জানা যায়, প্লাস্টিকের ব্যাগে রয়েছে ১০ কেজি গরুর মাংস। সেই মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয় রেস্তরাঁর ম্যানেজারকে। যদিও ম্যানেজারের দাবি, ওই মাংস গরুর নয়, মোষের। মাংসের নমুনা ফরেনসিক সায়েন্স গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাংসের ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পায় পুলিশ। তাতে দেখা যাচ্ছে, ছ’টি প্যাকেটের মধ্যে দু’টি প্যাকেটে ছিল গরুর মাংস। বাকিগুলোতে ভরা ছিল মোষের মাংস।
লালগেট থানার ওসি এন এইচ ব্রমভট্ট বলেন, ‘‘আমরা সরফরাজ খানকে গ্রেফতার করেছি। তিনি কোথা থেকে গরুর মাংস পেলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই কয়েক জনের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছি, ওই মাংস কি রেস্তরাঁয় পরিবেশনের জন্য আনা হয়েছিল না অন্য কোনও কারণে।’’
এই ঘটনার পরই ওই রেস্তরাঁর বাকি শাখাগুলিতেও অভিযান চালায় পুলিশ। তবে অন্য কোনও রেস্তোরাঁ থেকে সন্দেহজনক মাংস উদ্ধার হয়নি বলে সূত্রের খবর।
সূত্র : আনন্দবাজার