বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে ‘এ’ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল জয় পেয়েছে ১৪ রানে। রোববার রাতে শুরু হওয়া ম্যাচটি বাংলাদেশ সময়ে মধ্যরাতে শেষ হয়। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ।
তবে হেসে-খেলে জয় পায়নি সালমা খাতুদের দলটি। রান তাড়া করা আইরিশদের শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫২ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট, হিসেব অনুযায়ী আইরিশরা হেসে-খেলে হয় পাবার কথাই ছিল। কিন্তু সালমা খাতুন-নাহিদা আক্তারদের দারুণ বোলিংয়ে তার আগেই অলআউট হয়ে যায় তারা।
নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৪৩ রান করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। জবাবে খেলতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১২৯ রানে থামে আইরিশ মেয়েদের ইনিংস। রান তাড়ায় ৫ রানে ২ উইকেট হারালেও ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ড। অ্যামি হান্টার ও লাউরা ডিলানির ৪৫ রানের জুটিতে দেয় চোখ রাঙানই। ৩৩ রানে হান্টার রানআউট হলে ভাঙে জুটি। ২ ওভার পরেই ডিলানিকে (২৮) ফেরান হান্টারকে রানআউট করা সালমা।
আইরিশদের ক্রিজের দুই সেট ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। তবে এক পাশে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান এইমার রিচার্ডসন। ১৯তম ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হন সর্বোচ্চ ৪০ রান করে। আইরিশরা রান তুললেও গতি ছিল ধীর। সেই মাশুল দিতে হলো হারে।
ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন লাল সবুজের মেয়েরা। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সালমা। ২টি করে উইকেট নেন সানজিদা আক্তার মেঘলা ও নাহিদা। উইকেটের দেখা না পেলেও দারুণ বোলিং করেন রুমানা আহমেদ ও ঋতু মনি।
এর আগে, ব্যাটিং করতে নেমেও দারুণ করে বাংলাদেশ। শামীমা সুলতানা-মুরশিদা খাতুনের ওপেনিং জুটি থেকে মাত্র ২৮ রান আসলেও বাংলাদেশের ছিল সঠিক কক্ষপথেই। দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জৌতি। শামীমার সঙ্গে জুটি গড়ে যোগ করেন ৬২ রান। মাত্র ২ রানের জন্য ফিফটি পাননি শামীমা। তিনি ৪০ বলে ৪৮ রান করেন।
তবে ফিফটি করেন জৌতি। সর্বোচ্চ ৬৭ রান আসে তার ব্যাট থেকেই। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই নারী ব্যাটার। ১৯তম ওভারে টানা তিন বলে ছয়-চার হাঁকিয়ে ৪৭ বলে দেখা পান ফিফটির। এ ওভারে ১৬ রান আদায় করে নেন তিনি। আউট হয়েছেন শেষ ওভারের শেষ বলে। ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ঋতু। আইরিশদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন এইমার, লিয়াহ পল, আরলেন ক্যালি ও ডিলানি।
‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। আটটি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে বাছাই পর্বে লড়বে। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল সেমিফাইনালে খেলবে। আর সেমিফাইনালের বিজয়ী দুই দল ফাইনাল খেলবে। যেই দুই দল ফাইনালে উঠবে, তারাই পরের বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বসবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। বাছাই থেকে যাওয়া দুই দলসহ মোট ১০ দল লড়বে বিশ্বকাপে।