রাজনীতি

বিএনপির আগ্রহ একটাতেই: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একই কথা বলে আসছি, সেটি হলো- দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বুধবারের অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন স্থগিত সেটাই প্রমাণিত করে। সেখানে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারার কারণে তারাই নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। বিএনপি যে কথা বলে আসছে সে কথা আবারো প্রমাণিত হলো।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কী হলো না হলো সেটাতে বিএনপির আগ্রহ নেই। তবে বিএনপির আগ্রহ একটাতেই সেটা হলো- শুধু নির্বাচন সিস্টেম বা ব্যবস্থা নয়, সমস্ত দেশকে যারা বিভাজন করেছে, গণতন্ত্রকে যারা হরণ করেছে, রাষ্ট্রকে যারা আজকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে তাদেরকে সরিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে কারণেই বিএনপি গণআন্দোলন শুরু করেছে। চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেখানে যে জনতার ঢল নেমেছে, লাখো মানুষের যে সমাগম হয়েছে, সে সমাবেশ থেকে আন্দোলন আরম্ভ হলো। সেখান থেকেই সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। এক দফা এক দাবি। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। আন্দোলনে পতন হবে সরকারের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে নির্বাচন।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার নতুন একটি সার্কুলার দিয়েছে। ২৯টি বিভাগ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ১৫ ধারায় নিয়ে আসার। যেগুলো রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এ ধরনের ইম্পর্টেন্ট বিভাগগুলো আছে সেগুলোকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে বিভাগগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকরা ইচ্ছা করলেই কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না। এসব বিভাগের ভেতরের খবরগুলো আনতে আর সাংবাদিকরা সেখানে যেতে পারবেন না। এটা যে কত বড় সর্বনাশ হয়েছে, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে আরও খর্ব করা হলো। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা, জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন দেশের দুর্ভিক্ষের কথা। দেশে যদি দুর্ভিক্ষ আসে তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করা উচিত।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি নুর করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, মো. জাফরুল্লাহ, জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।