দেশবার্তা

বিএনপির গণসমাবেশে বাঁশে পতাকা বেঁধে একদল কর্মী

সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ময়মনসিংহের বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্র কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাঁশের মাথায় জাতীয় পতাকা বেধে সমাবেশ যোগ দিতে দেখা গেছে একদল কর্মীকে। আওয়ামী লীগের প্রতিরোধ ঠেকাতে বাঁশ নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। নগরীর চরপাড়া এলাকায় অবস্থান করে এ ধরনের বেশ কয়েকটি মিছিল দেখা গেছে।

মিছিলে থাকা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ উসকানি দিচ্ছে। নিজেদের রক্ষার জন্য বাঁশ নিয়ে সমাবেশে এসেছি। এক চুলও ছাড় দেবো না আমরা।’

দুপুরের পর সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থকালেও ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা সমাবেশ এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুরে সমাবেশস্থল মাসকান্দার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। তবে নগরী ঘুরে দুপুর একটা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেখা যায়নি।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘বাঁশের লাঠি নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহর জুড়ে ছয় শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে- স্থানীয় কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমানের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম। পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ সফল করতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।

সমাবেশকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা শুরু হয় ময়মনসিংহ শহরে। শুক্রবার মহানগর আওয়ামী লীগ নগরীল রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। আজও জেলা আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগ মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দের বাসায় হামলার চেষ্টা করা হয়, শুক্রবার দুপুরে নতুন বাজার এলাকার পার্টি অফিসকে ঘিরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতারা মোটরসাইকেল দিয়ে মহড়া দেন, সন্ধ্যায় টাউনহল এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত চার জন আহত হন।