জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর)। এই নির্বাচনকে ঘিরে বৈধ অস্ত্র বহনে ভোটের আগে পরে এবং ভোটের দিনসহ মোট সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
রোববার (১৬ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সহকারী সচিব মো. মাছুদুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবর ৬১ জেলা পরিষদ (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত) পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-৬ এর স্মারক মোতাবেক আর্মস অ্যাক্ট-১৮৭৮-এর ধারা ১৭ (ক) (১) অনুযায়ী এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, ভোটের আগে তিন দিন ভোট গ্রহণের দিন এবং ভোটের পরে তিন দিন মোট সাত দিন আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীগণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল/বহন/প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আর্মস অ্যাক্ট-১৮৭৮ সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে আদেশে।
আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট সব জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপারদেরও। এছাড়াও এ সংশ্লিষ্ট কপির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিব, পুলিশের আইজিপি, র্যাব প্রধানসহ বিভিন্ন রেঞ্জের প্রধানদের কাছেও।
আগামীকাল ১৭ অক্টোবর সারাদেশে ৫৯টি জেলা পরিষদ (তিন পার্বত্য জেলা, নোয়াখালী ও চাঁপায়নবাবগঞ্জ ব্যতীত) নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১৪ হাজার ৯২৩ জন ও পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ২৩৬ জন।
নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদ রয়েছে ৪৬৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদ রয়েছে ১৭২টি। আর চেয়ারম্যান পদ রয়েছে ৬১টি। এসব নির্বাচনে ৪৭৭টি ভোটকেন্দ্রের ৯৫৫টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৯৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৫১৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে রয়েছেন ৬২২ জন প্রার্থী। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৬ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।