জাতীয়

আমরা দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা চলছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের সবাইকে আরও মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হতে হবে। কে, কী বললো তাতে কান দেওয়া যাবে না।’ সরকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

`
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল (চুল্লি) স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন।

এ প্রকল্পে রাশিয়ানসহ সাড়ে চার হাজারের বেশি বিদেশি ও বাংলাদেশি মিলিয়ে ২৩ হাজার মানুষ কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছি। জ্বালানি সংকটের কারণে এখন বিদ্যুতের উৎপাদনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। খুব শিগগিরই এটা কেটে যাবে। দেশের কেউ অন্ধকারে থাকবে না।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট চালু করতে পারবো। ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটও চালু হবে। এর মাধ্যমে দেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় রাশিয়ান ফেডারেশনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সের্গেই কিরিয়েংকো উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হৃদপিণ্ড বলে বিবেচিত রি-অ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপনকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চুক্তি অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, যা নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একক উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে রূপপুর দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প।