ইতিহাস

দেশের সর্ববৃহৎ নবরত্ন মন্দির সিরাজগঞ্জে

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার হাটিকুমরুলে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ নবরত্ন মন্দির। ১৭০৪ থেকে ১৭২৮ সালে মধ্যবর্তি সময়ে নবাব মুর্শিদকুলি খানের শ্বাসন আমলে রামনাথ ভাদুড়ী নবারের একজন তহসীলদার ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরটি নির্মান করেন।

ইতিহাস গবেষকদদের মতে মন্দিরের জাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির করেছিলেন নবাব মুর্শিদকুলি খান।

সিরাজগঞ্জ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. রিফাত-উর-রহমান বলেন, মুর্শিদকুলি খান যখন শাসন করতেন তারই অর্থায়নে জমিদার রামনাথ ভাদুড়ী নির্মান করেছিলেন, সেটা হচ্ছে একদমই ইতিহাস ভিত্তিক একটা তথ্য, আমরা আরকিউ লজিক্যালি ইনভিষ্টিকেট করার চেষ্টা করছি। তবে এখানকার টেরি কোটা খসে পড়েছে সেগুলোর মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়নি।

একটি উচুঁ বেদির উপর নির্মিত ৩তলা বিশিষ্ট এ মন্দিরটি স্থানীয় ভাবে দোল মঞ্চ নামে পরিচিত। মন্দিরটির দৈর্ঘ্য ১৫.০৪ মিটার, এবং উচ্চতা ১৩.২৫ মিটার।

নীচতলায় ২টি বারান্দা বেষ্টিত একটি গর্ভগৃহ আছে। ইট, চুন, সুরকির মসলা দিয়ে তৈরী এই মন্দিরটি, বারান্দার বাইরের দিকে ৭টি এবং ভিতরের দিকে ৫টি খিলান প্রবেশ পথ রয়েছে। বাংলাদেশের ৩টি নবরত্ন মন্দিরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। বাংলাদেশ তথা দেশের বাহিরে থেকেও দর্শনার্থীরা এখানে এসে মুগ্ধ হন এ মন্দিরের নির্মান শৈলী দেখে।

স্থানীয়রা জানান, বহিরাগত লোকজনেরা আসে, বিদেশ থেকে লোকজনেরা আসে এবং ঈদ ও পূজা উপলক্ষেও অনেক লোকজন আসে এই মন্দির দেখতে। স্থানীয়রা আরও বলেন, ছোট ছোট বিলডিং ছিলো সাইডে, পাশেই পুকুরে নৌকা বাধা ছিলো, সেটা নাকি সোনার নৌকা ছিলো সিকল দিয়ে বাধা ছিলো।

প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন এ মন্দির চত্তরে রয়েছে বিশাল শিব মন্দির, বাংলা মন্দির, শিবমটসহ মোট ৪ টি স্থাপনা। যার ইট ও টেরা কুটির উপরে রয়েছে দেব দেবির ছবি সম্বলিত অর্পূব নকশা অবাক করে ঐতিহাসিকদের।

তবে বার বার সংস্কারের কারনে মুছে গেছে অনেক নির্দশন। আবার কেউ বলছেন, মন্দিরের যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব সে অনুযায়ী রক্ষনা বেক্ষন বা কোন ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। তবে স্থানীয়দের মতে সুন্দর্য বর্ধন করা হলে এ মন্দিরটি হতে পারে দেশের অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র।