জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ২০১৯ সালের ২৮শে ডিসেম্বরের পর থেকে দলীয় যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, তা অবৈধ। একই সঙ্গে তিনি একজন আইনপ্রণেতা হয়ে আদালতের প্রতি সম্মান দেখান না, যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামীল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাবেক এমপি ও সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
বুধবার ০২ অক্টোবর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি এমএ গোফরান, এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ, সাবেক এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মিলন ও অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজুসহ প্রমূখ।
জিয়াউল হক মৃধা ঢাকার প্রথম আদালতে জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমের নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি অগণতান্ত্রিক পন্থায় দলটি পরিচালনা করেছেন করছেন। তার দলের চেয়ারম্যান থাকার অধিকার নেই। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির কর্ণধার।
তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্রের ২০(১) ক ধারা ব্যবহার করে জাপায় দাস প্রথা চালু রেখেছেন চেয়ারম্যান। গণতান্ত্রিক দেশে কোনো রাজনৈতিক দলে দাসপ্রথা চলতে পারে না। জাতীয় পার্টির সকালে এক রং, বিকালে আরেক রং আবার রাতে আরেক রং ধারণ করে থাকে।
আপনারা রাজনীতিতে কোন রং ধারণ করবেন? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে জিয়াউল হক মৃধা বলেন, শিগগিরই বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টিতে নতুন রং নিয়ে রাজনীতি শুরু করবেন। যা দলের লাখ লাখ তৃণমূল নেতাকর্মীর মনের আকাঙ্ক্ষা পুরণ করবে।