জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে ঘোষণা করা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয় জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ৩ নভেম্বর কারাগারে চার নেতা হত্যাকে ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস করার দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সে দাবি করতেই পারে। এটা একটা বিষয় নয়। আসলে আমাদের এত দিবস, সেটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবিতে গত সোমবার জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।
জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কাদের বলেন, হত্যার অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২৩টি তাজা প্রাণে রক্তাক্ত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যায় গোটা পরিবারকে নিঃসঙ্গ করে দেওয়াই ছিলো হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বিদেশে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার হত্যার যে রাজনীতি, তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি। তারাই (বিএনপি) বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড মেরে নেতাকর্মীদের হত্যাকারী।
আমরা আজ এই কথা বলতে চাই, রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বাংলায় হত্যার রাজনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চিরতরে বন্ধ করতে হবে। সেই লড়াই আমাদের চলছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।