কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবৈধভাবে বাড়ি নিমার্ণ করে বসবাসরত চার শতাধিক পরিবারকে শনিবার সকালে উচ্ছেদে নামে জেলা প্রশাসন। বিপুলসংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতিতে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
ওই সব পরিবারের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ‘আগে পুনর্বাসন এবং পরে উচ্ছেদ’ এমন স্লোগান নিয়ে রাস্তায় নামেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কুয়াকাটা ধানসিঁড়ি বাংলোর সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা পর আপাতত উচ্ছেদ অভিযান না চালানোর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষে কলাপাড়া ইউএনও শংকর চন্দ্র বৈদ্য আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা সড়কের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ান।
বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা ৫০-৬০ বছর ধরে বেড়িবাঁধের বাহিরে সরকারি জমিতে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন। হঠাৎ করে শুক্রবার রাতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে বাধ্য হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা আগে করে তারপর প্রশাসন উচ্ছেদ করুন।
খাসজমিতে বসবাসকারী ৭০ বছর বয়সি দুলাল মিয়া জানান, এখনই উচ্ছেদ করলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তাদের পথে বসতে হবে। তাই পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদে নামলে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন তারা।
একই স্থানের ষাটোর্ধ্ব আ. রহিম জানান, প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও তারা তাদের পূর্ব পুরুষের কবরের জায়গা ধরে রাখবেন। বিক্ষোভে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পূর্বদিকে বেড়িবাঁধের বাহিরে সরকারি জমিতে বসবাসকারী নারী-শিশুসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের বাহিরে সৈকত লাগোয়া ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সরকারি জমি। সরকারি জমি দীর্ঘ বছর ধরে ভুয়া মালিকানা দাবিতে ভোগদখল করে আসছিল কতিপয় অবৈধ বসবাসকারীরা। আদালত কর্তৃক মালিকানা দাবি নামা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই জমি এখন সরকারের। তাই সরকারি জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়।