চলতি মাসে ঢাকা আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। আগামী ২২ নভেম্বর ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলাপে গুরুত্ব দিতে চায় ঢাকা।
রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক অনুষ্ঠান শেষে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আজ রোববার বিআইআইএসএস ‘লুক আফ্রিকা: এক্সপ্লোরিং নিউ হরাইজনস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিআইআইএসএস। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।
অনুষ্ঠান শেষে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এখনও অনেকগুলো দিন বাকি। তার আসার সম্ভাবনা আছে। আইওআরএ-র সম্মেলনে রাশিয়া প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করবে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে জ্বালানি ইস্যু বাংলাদেশের সহযোগিতা বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রাশিয়াতো নানাভাবে নানান ইস্যুতে নিবিড় পরিস্থিতির মধ্যে আছে। সুতরাং, অবশ্যই আলোচনা হবে। তার মধ্যে বর্তমান যে পরিস্থিতি- জ্বালানি সংকটে কোনো রকমের সম্ভাবনা আছে কিনা, সেটা আলোচনা এবং খাদ্য সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে এবং সেখানে আমাদের যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো আছে, সেগুলো আলোচনা করার সুযোগ হবে। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে আমাদের পাইপলাইনে যেসব প্রকল্পগুলো রয়েছে, যেমন- রূপপুরে একটা বড় অংশগ্রহণ রয়েছে তাদের, সেগুলোতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এছাড়া দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের পক্ষ থেকে যেসব অগ্রাধিকার আছে, চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো আরও স্পষ্ট করে বলতে পারব। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশ রাশিয়াকে আরও কাছে পেতে চায় বলে জানান তিনি।
রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আসার পর বোঝা যাবে। এখন যে মেরুকরণ চলছে, সেটাতো আছেই, সেটা বলা বাহুল্য। তারপরও তাদের সঙ্গে যে ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক আছে, সেটার আলোকে আমরা তাকে স্বাগত জানাব। মূলত, তাদের আইওআরএ যোগ দেওয়াটা বড় বিষয়। এটাতে রাশিয়ার থেকে যদি কোনো কার্যক্রম থাকে, সেগুলো আমরা শুনব।