ফিফা এর আগে জানিয়েছিল, কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে রেকর্ড ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা)। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বিশ্বকাপের প্রাইজমানি থেকে এবার ৬০ লাখ ডলার বাড়ানো হয়েছে। ২০০৬ বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করলে প্রাইজমানি বেড়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
আয়োজক দেশ কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে। ‘এ’ গ্রুপে কাতারের তিন প্রতিদ্বন্দ্বী দল নেদারল্যান্ডস, ইকুয়েডর ও সেনেগাল। ধরা যাক, কাতার একটি ম্যাচও জিততে পারল না। তবু শুধু অংশ নেওয়ার জন্যই ১২ লাখ ডলার পাবে কাতার। এই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিটি দলই এই পরিমাণ অর্থ পাবে।
খেলোয়াড়দেরও অর্থ আয়ের সুযোগ থাকবে কাতার বিশ্বকাপে। বেশির ভাগ ফুটবল ফেডারেশনই তাদের খেলোয়াড়দের এই অর্থ দিয়ে থাকে। ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ যেমন জানিয়েছে, বিশ্বকাপে খেলার জন্য দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ১ লাখ ২৮ হাজার ডলার দেবে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল ফেডারেশন। নকআউট পর্বে উঠতে পারলে অতিরিক্ত আরও ১ লাখ ৬৪ হাজার ডলার করে দেওয়া হবে খেলোয়াড়দের।
কাতার বিশ্বকাপে ৬৩টি দেশের মোট ৪১৬টি ক্লাবের খেলোয়াড়েরা এবার বিশ্বকাপে নিজ নিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন। মোট খেলোয়াড়সংখ্যা ৮৩০। এসব ক্লাবের খেলোয়াড়েরা মাঠে নামুক বা না নামুক, যত দিন বিশ্বকাপে থাকবেন, তত দিন ধরেই টাকা পাবে ক্লাবগুলো। প্রতিটি ক্লাবকে তাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার দেওয়া হবে।
বিশ্বকাপের প্রাইজমানি:
চ্যাম্পিয়ন: ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার
রানার্সআপ: ৩ কোটি ডলার
তৃতীয় দল: ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার
চতুর্থ দল: ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার
পঞ্চম থেকে অষ্টম দল: প্রতিটি দল পাবে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার
নবম থেকে ১৬তম দল: প্রতিটি দল পাবে ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার
১৭তম থেকে ৩২তম দল: প্রতিটি দল পাবে ৯০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে ১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার