দেশবার্তা

পরিবহন ধর্মঘট : ট্রলার-নৌকা-লঞ্চে সিলেট গণসমাবেশ যোগ দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে এবার সুনামগঞ্জে দু’দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক সমিতি। পরিবহন ধর্মঘটকে উপেক্ষা করে ট্রলার-নৌকা-লঞ্চে করে সমাবেশস্থলে আসা শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।

মালিক সমিতির জানায়, সড়কে অবৈধ সিএনজি-ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে ১৮ ও ১৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাতে সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোজ্জামেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজী এলাকার এম এ খান সেতুর টোল আদায় বন্ধ, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও পরীক্ষামূলক (অন টেস্ট) সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ, সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনাল সংস্কার ও আধুনিকায়ন-এই চার দফা দাবিতে তারা আগে থেকেই আন্দোলন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। বিএনপির সমাবেশের সাথে বাস ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি দাবি করেন।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘এসব ধর্মঘটের উদ্দেশ্য আমাদের সমাবেশে যেতে বাধা দেয়া। দেশের অন্যান্য বিভাগেও এসব করা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমাদের কোনোভাবেই আটকানো যাবে না। নেতা-কর্মীদের অনেকেই সিলেটে পৌঁছে গেছেন ’

তিনি বলেন, বাস বন্ধ থাকলে নেতাকর্মীরা লঞ্চে অথবা প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটে গিয়ে সমাবেশে যোগ দেবেন।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোকে সামনে রেখে অন্যান্য স্থানেও পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় মালিক সমিতি। বিএনপির দাবি, মূলত সরকারের ইন্ধনে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তবে এভাবে গণসমাবেশে মানুষের উপস্থিতি ঠেকানো যাবে না বলেও জানান তারা।

এদিকে ধর্মঘটের আশঙ্কায় সমাবেশের তিন দিন আগে থেকেই লোকসমাগম হওয়া শুরু হয়েছে সিলেট আলিয়া মাঠে। ধর্মঘটের খবর পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা নৌপথে ট্রলার-নৌকা-লঞ্চে করে সিলেট গণসমাবেশ আসছেন।

আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মালিক সমিতি।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন সমাবেশে পরিবহন ধর্মঘট দেয়া হয়েছিল। সিলেটেও ঠিক একই কায়দায় করা হচ্ছে। মূলত সরকারের ইশারায় এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এভাবে গণসমাবেশে মানুষের উপস্থিতি ঠেকানো যাবে না বলেও জানান তারা।