বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ খোয়াল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।
গত ১৩ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলে নেয় ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার সপ্তাহ খানেক ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার মাঠেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে টানা হারল ইংলিশরা।
বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেড ওভালে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে ২৮৭ রান করেও হার এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। সেদিন ১৯ বল আগেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২৮১ রানের টার্গেট তাড়ায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড হারে ৭২ রানে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৩ রানে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেডের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
এরপর মার্নাস লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে ১১২ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন স্টিভ স্মিথ। ৫৫ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন লাবুশেন। গোল্ডেন ডাক মারেন অ্যালেক্স ক্যারি। পঞ্চম উইকেটে মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৯৫ বলে ৯০ রানের জুটি গড়েন স্মিথ।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া স্টিভ স্মিথ সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় গিয়ে হোঁচট খান। ১১৪ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কার সাহায্যে ৯৪ রান করে আউট হন তিনি। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৮ বলে ৮০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন স্মিথ।
স্মিথ আউট হওয়ার পর মিচেল মার্শের ৫৯ বলের ৫০ আর অ্যাস্টন অ্যাগারের ১২ বলের ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৮ উইকটে ২৮০ রান করতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারায় তারা। মিসেল স্টার্কের গতির শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার জেসন রয় ও তিনে ব্যাটিংয়ে নামা ডেভিড মালান। দলীয় ৩৪ রানে জস হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ফিল স্লট।
চতুর্থ উইকেটে সেম বিলিংসকে সঙ্গে নিয়ে ১৩৬ বলে ১২২ রানের জুটি গড়েন জেমস ভিন্স। এরপর মাত্র ৫২ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৮.৫ ওভারে ২০৮ রানেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
৭২ বলে ৬০ রান করে ফেরেন জেমস ভিন্স। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ বলে ১০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মঈন আলী। ৮০ বলে ৭১ রানে ফেরেন সেম বিলিংস। তার বিদায়ের পর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। যে কারণে হার এড়ানো সম্ভব হয়নি।