আন্তর্জাতিক

কিয়েভে রুশ সমর্থিত হাজার বছরের পুরনো খ্রিষ্টান মঠে ইউক্রেনের অভিযান

কিয়েভে রুশ সমর্থিত ঐতিহ্যবাহী হাজার বছরের পুরোনো খ্রিস্টান মঠে অভিযান চালিয়েছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা ও পুলিশ বাহিনী। ওই মঠকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী নাশকতামূলক কার্যকলাপ করতো বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, কিয়েভে রুশ সমর্থিত হাজার বছরের পুরোনো অর্থোডক্স খ্রিস্টান মঠে অভিযান চালিয়েছে ইউক্রেন।
কিয়েভের পিচেরস্ক লাভরা কমপ্লেক্সে মঠটির অবস্থান। এটি ইউক্রেনীয় সংস্কৃতির একটি খাজানা। এই ভবনে চার্চ ও আরও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় রয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় রয়েছে এটি।
ইউক্রেনীয় কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স (এসবিউ) ও কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিস বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ান বিশেষ পরিষেবাগুলোর কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এটি আমাদের নিয়মিত পদক্ষেপের অংশ।
এক বিবৃতিতে এসবিউ জানায়, অভিযানটির মূল লক্ষ্য ছিল, রুশ কেন্দ্রিক মঠের ব্যবহার রোধ ও পিচেরস্ক লাভরা কমপ্লেক্সের ব্যবহার সম্পর্কে জানা।
কিয়েভের ২৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে রিভেনি প্রদেশে রুশ কেন্দ্রিক আরও একটি মঠ নজরদারিতে রয়েছে বলে আরেক বিবৃতিতে জানিয়েছে এসবিউ।
আল-জাজিরা বলছে, ‘রাশিয়ান বিশ্ব’ পররাষ্ট্র নীতিতে চলছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্ম রক্ষা করতে ও প্রসারে এমন নীতি গ্রহণ করেছেন পুতিন।
ইউক্রেনীয় বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। অর্থোডক্সির বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের অংশ এটি। ’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। এরপরেই দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। এ যুদ্ধের প্রথম থেকেই রাশিয়াকে সমর্থন করে আসছে মস্কো কেন্দ্রিক উপাসনালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চের প্রধান প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল যুদ্ধটিকে মস্কো ও পশ্চিমাদের মধ্যে একটি আধিভৌতিক সংগ্রাম হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। মঙ্গলবারের অভিযানের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে তিনি।
আল-জাজিরা বলছে, রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স খিস্ট্রানদের মধ্যে এমনিতে দূরত্ব রয়েছে। আর সবশেষ এই অভিযান তাদের মাঝের দূরত্ব আরও বাড়াবে।
রুশ কেন্দ্রিক অর্থোডক্স চার্চের মুখপাত্র ভ্লাদিমির লেগোয়দা বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে আমাদের অনুসারীদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে তারা। আমাদের লোকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এই কাজটি তাদের নজরে পড়বে না যারা নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্প্রদায় বলে দাবি করে।’ সূত্র : আল-জাজিরা