অর্থ ও বানিজ্য

রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে অবৈধ হুন্ডি কারণে।

এম রানা রতন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট-সরকারের নানামুখী তৎপরতা অবৈধ হুন্ডি বন্ধ করার উদ্যোগ সফল হবে যদি প্রবাসে বিভিন্ন দোকানে বাসায় বসে বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে এই হুন্ডি অবৈধ টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন আর এটা তারা করছেন কিছু অবৈধ দেশের কিছু মোবাইল ব্যাংকিং নামে । এক দিকে তারা ডলার রেট দিচ্ছেন ১১৫-১১৬ টাকা অন্য দিকে কোন কাগজপত্র ছাড়া দেশে ঘরে বসে টাকা পেয়ে যাচ্ছেন দেশে। অতি দ্রুত বিদেশে যারা দোকান ও বিভিন্ন মোবাইল দোকানে এসব অবৈধ হুন্ডি মোবাইল ব্যাংকিং নামে দেশবিরোধী হুন্ডি সাথে জড়িত তাদের স্থানীয় মিশন গুলো মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া আজ অতীব জরুরি। এক দিকে কিছু ব্যাংক রেট দিচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত করা তার চেয়ে ও বেশি কিন্তু তারা কিভাবে দিচ্ছেন তাও খতিয়ে দেখা উচিৎ। তবে বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেল রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করতে হলে ডলার রেট নির্ধারণ করা যায় কি না এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর বিজনেসের উপর ভিত্তি করে রেট নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা আসা উচিত। বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের মান্যবর গভর্নর অত্যন্ত সচেতন এবং অভিজ্ঞ রেমিটেন্স ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। সরকারে নারাবিদ অনেক উদ্যোগ কিছু দেশবিরতির কারণে এই হুন্ডি ব্যবসা আজ বিদেশে দেশ ও টাকা আসে না সে টাকা চলে যায় ইউরোপে আমেরিকাতে এবং সেখানে ইনভেস্ট হচ্ছে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো ওই টাকাগুলো দেশে হুন্ডি হিসেবে বাংলাদেশে আসে না। বাংলাদেশে প্রবাসে এবং দেশে যারা হুন্ডি করেন বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অবৈধভাবে তারা চিহ্নিত সবাই জানে এবং স্থানীয়ভাবে দেশে প্রবাসে সবাই অবগত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আজ সময়ের দাবি কারণ তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা করা উচিত যেন তারা তাদের এই দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং এই ব্যবসার মাধ্যমে জঙ্গিবাদের টাকা সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশ ে ডলার ব্যাংক গুলো চাহিদা মতে যদি আনতে হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। যা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সুন্দর পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং প্রশংসিত পদক্ষেপ নিয়েছেন এটা বলা বাহুল্য। তবে দ্রুত আরো অনেক অবৈধ মোবাইল ব্যাংকিং নামে যে চ্যানেলে আসতেছে এবং তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এগুলো দেখাশোনার করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ যেমন অনেক সাফল্য আছে তেমনি ব্যাংকিং গুলো তাদেরও দায়িত্ব আছে কিভাবে রেমিড্যান্স বৃদ্ধি করা যায় সেজন্য দক্ষ জনশক্তি রেমিটেন্স ডিভিশনের কাজ করা উচিত যেমন দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং কে আরো গতিশীল করে এবং তাদেরকে রেমিটেন্সের প্রতি আরো আগ্রহী করে তুলতে হবে। বর্তমান অবস্থায় দেশের ব্যাংকিংয়ের চ্যানেলগুলো ব্যাংকাররা বিভিন্ন দেশে তারা বাংলাদেশ কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ করে এবং বিদেশে গিয়ে মার্কেটিং করা অতীব জরুরী এবং এরই সাথে চিহ্নিত করা উচিত কারা হুন্ডি ব্যবসা করে তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় মিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকে অবগত করা। মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলগুলো যেমন বিকাশ রকেট সহ যারা আছে তাদেরকে বৈধভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হবে এবং তাদের ফ্রি অবশ্যই এমন বজায় রাখতে হবে যেন বিদেশে ব্যাংক এক্সচেঞ্জ হাউজ গুলো তারা আগ্রহী হয় বৈধ পথে মোবাইল ব্যাংকিং রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলছি সৌদি আরব দুবাই বাহারাইন কুয়েত কাতার সহ বিভিন্ন দেশে এখন ওপেন এই অবৈধ মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে করা হচ্ছে এবং তারা যারা রেমিটেন্স করে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করে তারা বৈধভাবে এই মোবাইল ব্যাংকিং করছে। আর প্রবাসীরাও তারাও এ সুবিধা গুলো নিচ্ছে তারা যে সুবিধা গুলো এই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাচ্ছে সেগুলো সহজ বেশি রেট একদিকে অগ্রিম টাকা দিয়েও টাকা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে দেশে স্বজনদের কাছে। বর্তমানে এই মোবাইল ব্যাংকিং অবৈধভাবে যারা দেশে-বিদেশে করছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে না পারলে দেশের রেমিটেন্স ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাহ আরো অনেক কমতে পারে যতই উদ্যোগ নেওয়া হোক তার একটি কারণ কারণ হচ্ছে অবৈধ যারা বিজনেস করে তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এমন ভাবে দিচ্ছে যা ব্যাঙগুলো দেওয়া সম্ভব না।

 

 

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স)। বাণিজ্য ঘাটতি মেটানোর অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স প্রবাহে সাম্প্রতিক সময়ে ভাটা পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত বছর বিপুল পরিমাণ মানুষ বিদেশে গেলেও রেমিট্যান্সে তার প্রভাব পড়ছে না। সরকারের নানা উদ্যোগের পরও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেমিট্যান্স বাড়ছে না। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে হুন্ডি প্রক্রিয়াকে। এ অবস্থায় রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, অবৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেবে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। শুধু হুঁশিয়ারি নয়, হুন্ডিতে রেমিট্যান্স আসায় চারটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের ২৩০টি গ্রাহক অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট স্থগিত করা হয়েছে। এটা যেমন একটি হুঁশিয়ারির এবং হিন্দি ব্যবসায়ীদের জন্য হিসেবে জানানো হয়েছে তাতে তার চেয়ে আরও দ্রুত এসব হুন্ডি মোবাইল ব্যাংকিং অবৈধভাবে যারা করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদেরকে দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসী ভাইবোনেরা দেশকে ভালবাসুন দেশকে ভালবাসলে আপনি স্বজনরা থাকবে অনেক ভালো এবং সুযোগ-সুবিধা পাবে অনেক বেশি ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে কারণ প্রবাসীদের জন্য ব্যাংক প্রায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। আর ব্যাংকগুলোর উচিত প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা যেমন তাদের জন্য বৈধ পদে টাকা পাঠালে ঋণের ব্যবস্থা করা বিদেশে যাওয়ার সময় ঋণের ব্যবস্থা করা সহজ কিস্তিতে তাদেরকে ঋণ দেওয়া তাদের জন্য সহজে আমানত সংগৃহীত করা এবং সহজে একাউন্ট খোলা যায় বিদেশ থেকে।

তবে এটাও সত্য বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক রেমিটেন্স ব্যবসার প্রতি আগ্রহী নয় বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্যই অবগত কোন কোন ব্যাংক এসব রেমিটেন্স এর মধ্যে আগ্রহী নয় এবং তাদের এমডি বা তাদের ম্যানেজমেন্ট এ ব্যাপারটা বুঝতেই পারেন না। ‌ বাংলাদেশ ব্যাংক এদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিনীত আবেদন করছি। প্রতিনিয়ত প্রবাসে বাংলাদেশীরা যাচ্ছে বর্তমানে শুধু মধ্য পাচ্ছে নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাচ্ছে কিন্তু রেমিডিস কি বৃদ্ধি পাচ্ছে?