গত আগস্টে লোহিত সাগর থেকে আটক নিজের নৌযানগুলো মুক্ত করার জন্য ইরানের কাছে অনুনয়-বিনয় করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এমন দাবি করেছে ইরানের নৌকমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি।
তিনি বলেছেন, ওই ঘটনার পর থেকে আমেরিকান সেনারা আর এ অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করার সাহস দেখায়নি।
শুক্রবার তেহরানের জুমার নামাজের খুতবা শুরু হওয়ার আগে দেওয়া বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিয়ার অ্যাডমিরাল ইরানি বলেন, আগস্ট মাসের ঘটনায় ইরানের নৌবাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনে সম্পূর্ণ পেশাদার ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, শত্রু যদি ‘অসঙ্গত সামরিক সরঞ্জাম’ ব্যবহার করত তাহলে ইরানের নৌবাহিনী তাদেরকে সমুচিৎ শিক্ষা দিত।
গত সেপ্টেম্বরে ইরানের নৌবাহিনী জানায়, তারা লোহিত সাগর থেকে দু’টি মার্কিন চালকবিহীন নৌযান বা নৌ ড্রোন আটক করেছে। আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের ওই রুটে যেকোনও রকম দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে ড্রোন দু’টি আটক করা হয়।
ইরানের নৌবাহিনীর ‘জামারান’ ডেস্ট্রয়ার নিয়মিত টহল দিতে গিয়ে ওই দু’টি গোয়েন্দা ড্রোন আটক করে। লোহিত সাগরে জলদস্যুদের উৎপাত ও নৌ সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করার লক্ষ্যে ইরান সেখানে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করেছে।
ইরানের নৌবাহিনী পরে নৌ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে একটি নিরাপদ এলাকায় মার্কিন ড্রোন দু’টি ছেড়ে দেয়। ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার এখন বলছেন, আমেরিকার পক্ষ থেকে অনেক অনুনয়-বিনয় করার পর ড্রোন দু’টি ছেড়ে দিয়েছিল তার বাহিনী।
তবে সত্যি নৌযানগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইরানের কাছে আমেরিকা অনুনয়-বিনয় করেছে কি না, তা নিরপেক্ষভাবে প্রমাণ করা যায়নি। এমনকি এই বিষয়ে ইরানি এই কমান্ডার ব্যতীত দেশটির অন্য কোনও দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কোনও সংবাদ প্রকাশ হয়নি। সূত্র: প্রেসটিভি