দেশবার্তা

শিশু কার্ডের জন্য টাকা ও রেশন কার্ডে চাল কম দেয়ার বিরোধিতা করায় চেয়ারম্যান পুত্র পেটালেন মেম্বারকে

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকেঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শিশু কার্ডের জন্য টাকা ও রেশন কার্ডে চাল কম দেয়ার বিরোধিতা করায় ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যান পুত্র পিটিয়ে আহত করেছেন এক ইউপি সদস্যকে (মেম্বার)। আহত ইউপি সদস্য বর্তমানে বোয়ালমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্য সৈয়দ বালা মিয়ার বাবা মজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ইউপি সদস্যদের সাথে চেয়ারম্যানের জরুরি মিটিং ছিল। উক্ত মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল রিলিফের কার্ড ও রেশনের চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে। মিটিংয়ের এক পর্যায়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. মান্নান মাতুব্বরের ভাই সিদ্দিক মাতুব্বর, ভাতিজা শাহিন মাতুব্বর ও শিমুল মাতুব্বর এবং চেয়ারম্যান পুত্র মাসুদ মাতুব্বর চেয়ারম্যানের নিকট প্রস্তাব করেন প্রতিটি শিশু কার্ডের জন্য কার্ডধারীদের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা নেয়ার এবং রেশন কার্ডধারীদের ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৭ কেজি চাল দেয়ার। এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ বালা মিয়াকে সিদ্দিক মাতুব্বর, শাহিন মাতুব্বর, শিমুল মাতুব্বর, মাসুদ মাতুব্বর লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্য সৈয়দ বালা মিয়ার বাবা মজিবর রহমান রবিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিদ্দিক মাতুব্বর বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মিটিংয়ে লোক পাঠানোর ব্যাপারে বালা মিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। এ সময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলায় তাকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা আক্রমণ করেন। আমি তাকে আরো সেভ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতেতো আমি কোন প্রস্তাব তুলতে পারি না।

পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মান্নান মাতুব্বর বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমি উপকারভোগীদের কখনো চাল ওজনে কম দেই না কিংবা কার্ড দিয়ে অর্থ নেই না। মেম্বার ও সচিবরাই ওসব বন্টন করেন।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, আমি ছুটিতে ঢাকায় আছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানার দায়িত্বরত সেকেন্ড অফিসার উপ পুলিশ পরিদর্শক আক্কাস আলী শেখ বলেন, এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।