যুক্তরাজ্যের পর এবার বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস। বুধবার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নোটিস জারি করা হয়। একই সঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি সতর্ক বার্তা দেয়া হয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে এই সতর্কতা করে মার্কিন দূতাবাস।
মার্কিন দূতাবাসের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে- ২০২৪ সালের জানুয়ারির আগে বা এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সমাবেশ এবং বিক্ষোভ ক্রমেই বাড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তাদের নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের কথা উল্লেখ করে ওই বার্তায় বলেছে- বাংলাদেশের দুটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। মনে রাখতে হবে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভগুলো সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে এবং সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। ফলে বিক্ষোভ ও কোনও বড় সমাবেশের আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পর্যালোচনা করে স্থানীয় ঘটনাসহ আশেপাশের বিষয়ে সচেতন থাকতে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন দূতাবাস। একই সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য স্থানীয় গণমাধ্যমের দিকে লক্ষ্য রাখার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়, “ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গণপরিবহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শহরে চলাচলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সমাবেশের আগে ও পরে কয়েক দিন ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি থাকতে পারে। তাই আপনাদের রাজনৈতিক সমাবেশ ও বড় জমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।”