জাতীয়

তথ্য না দেওয়ায় খাদ্য কর্মকর্তাকে অর্থদণ্ড

তথ্য কমিশনের নির্দেশনা সত্ত্বেও আবেদনকারীকে তথ্য প্রদান না করায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে অর্থদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশ তথ্য কমিশন।

রোববার ঢাকায় তথ্য কমিশনে শুনানি শেষে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ইউসিএফ) বরাবর গত ১৬ মার্চ কমিশনের বিধিবদ্ধ ফরমে কিছু তথ্য পেতে আবেদন করেন গোদাগাড়ী পৌর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বাতেন। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী অনধিক ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবেদনকারীকে তথ্য প্রদান না করে ঘুরাতে থাকেন।

পরে তথ্য কমিশনে আপিল করেন আব্দুল বাতেন। গত ২২ আগস্ট ঢাকায় তথ্য কমিশনে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দুই তরফা শুনানি শেষে কমিশন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অনধিক ২০ কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনকারীকে চাহিদাকৃত সব তথ্য সরবরাহের আদেশ দেন। এরপরও সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তা আবেদনকারীকে তথ্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকেন ও কমিশনের আদেশ লঙ্ঘন করেন।

এদিকে আবেদনকারী তথ্য না পেয়ে আবারো তথ্য কমিশনে অভিযোগ দেন। রোববার কমিশনে দুই তরফা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিশনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালিত না হওয়া ও তথ্য প্রদান না করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। কমিশন, তথ্য অধিকার আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদের নেতৃত্বে তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম ও তথ্য কমিশনার ড. আব্দুল মালেকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে আবেদনকারীকে সব তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেন। কমিশনের এই আদেশ পরিপালনে ব্যর্থ হলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে তথ্য আইন অনুযায়ী আবারো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।