ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবকিছু অর্জন করেছেন আর্জেন্টিনার সুপারস্টার লিওনেল মেসি। তবে এখনো বিশ্বকাপের ট্রফিটি ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার। সেই স্বপ্ন নিয়েই এবার কাতার বিশ্বকাপের শুরুটা করেছিলেন অধিনায়ক মেসি। গ্রুপ পর্ব, দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার ও সেমিফাইনাল পার করে স্বপ্নের শিরোপা পেতে আর এক ম্যাচ দূরে ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা।
আগামী রোববার ফাইনালের মঞ্চে বিশ্বকাপ জেতার মিশন নিয়ে মাঠে নামবে আকাশি-সাদারা। তার আগে মেসি আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন, আগামী ম্যাচটাই হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপে তার শেষ ম্যাচ।
আর্জেন্টিনাকে নিজ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বারের মতো ফাইনালে তুলে অধিনায়ক জানালেন, ‘রোববারের ফাইনালটাই আমার শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে, এটা নিশ্চিত। পরের বিশ্বকাপ আসতে আরও অনেক বছর বাকি। আমার মনে হয় না আমি সেখানে থাকব। আর তাই এভাবেই শেষ করাটাই হবে সবচেয়ে ভালো।’
মেসি যদিও বিশ্বকাপের আগে জানিয়েছিলেন, এবারই তার শেষ। তবু কোচ লিওনেল স্কালোনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, আর্জেন্টাইন অধিনায়ক খেলবেন আরও অনেক দিন। তবে মেসির কথায় পরিষ্কার, পরের বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না তাকে।
বিশ্বকাপকে তিনি বিদায় বলছেন ফাইনালের মঞ্চে খেলে। এমন অর্জনে তিনি ভীষণ খুশি। মেসির ভাষ্যে, ‘বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারকে ফাইনাল দিয়ে শেষ করাটা দারুণ। আমি এটা অর্জন করতে পেরে ভীষণ খুশি। এই বিশ্বকাপে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার, মানুষজনের কী অভিজ্ঞতা হয়েছে, দেশের মানুষ যেভাবে এটা উদযাপন করছে, তা বেশ রোমাঞ্চকর।’
সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় নিয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমি দারুণ অনুভব করছি। জয়টা আমাদের জন্য সহজ ছিল না। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত হয়ে এসেছিলাম, কিন্তু সেখান থেকে দল নতুন করে শক্তি অর্জন করেছে। কারণ আমরা জানি এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা জানতাম তাদের কাছে অনেক বেশি বল থাকবে, কারণ তাদের মিডফিল্ডে দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে। আমরাও ভালোভাবে প্রস্তুত ছিলাম।’
ফাইনাল জয়ের জন্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেসি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটা ছিল কঠিন ধাক্কা, তবে আমরা সেখান থেকে মানসিকভাবে আরও শক্তি জুগিয়েছি। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা খেলব, যেটা আমরা চেয়েছি। এটা আর্জেন্টিনার ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ফাইনাল, যেখানে আমি দ্বিতীয়টিতে খেলব। আশা করি এটি অন্যভাবে শেষ হবে। আমরা নিজেদের সবকিছু দিয়ে দিতে প্রস্তুত, জয়ের জন্য যা যা করা দরকার, তাই করব। এবার আমরা তা ঘটাতে চাই।’