গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেছেন, স্বাধীনতার মূল প্রেক্ষাপট ছিল ৭০’র নির্বাচন। এ দেশের মানুষের ভোটের মাধ্যম সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক বিপ্লব। অথচ আজকের এ কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মৃতি স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন মোস্তফা মহসীন মন্টু।
গণফোরাম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘বিজয়ের ৫১ বছর অতিবাহিত করলাম, আমাদের জাতীয় জীবনে ১৬ ডিসেম্বর এক অবিস্মরণীয় দিন। এ দিনে আমরা বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বজন ও বন্ধু হারিয়েও প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার আনন্দে উল্লাসে মেতে ছিলাম, চোখে ছিল আনন্দঅশ্রু। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে-স্বপ্ন নিয়ে আমরা স্বজন হারানোর বেদনা ভুলেও আনন্দিত ছিলাম সেই স্বপ্ন আজ পর্যন্ত প্রায় ৫১ বছরেও পূরণ হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন হয়েছে, বৈষম্যমুক্ত হয়নি।
আগে দেশের সম্পদ পাকিস্তানিরা নিয়ে যেত, এখন বর্তমান লুটেরারা দেশের বাইরে সম্পদ পাচার করে দিচ্ছে।
স্বাধীনতার মূল প্রেক্ষাপট ছিল ৭০-এর নির্বাচন। এদেশের মানুষের ভোটের মাধ্যম সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক বিপ্লব, অথচ আজকের এ কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। তাই আসুন আজ আমরা সবাই মিলে এ পবিত্র স্থানে শপথ গ্রহণ করি-দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করি।
যার মাধ্যমে দুঃশাসন হটিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার থাকব। ’
সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, বিজয় দিবস লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশর স্বপ্ন দেখে সেই স্বপ্ন থেকে দেশকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ফ্যাসিস্ট রূপ ধারণ করে এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ভুলে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করে জনগণের ওপর নিত্য নতুন কৌশলে নিপীড়ন নির্যাতন অব্যহত রেখেছে। গণফোরাম এ দানবীয় সরকারের জাতাকল থেকে জনগণকে মুক্তির লক্ষ্যে সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল ও জনগণের ঐক্য গড়ে তুলে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, সভাপতি পরিষদ সদস্য আব্দুল হাছিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সম্পাদক ও ঢাকা জেলা গণফোরাম সভাপতি আব্দুল হামিদ মিয়া, মহিলা সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শাপলা, ছাত্র সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম. এ. কাদের মার্শালসহ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মাহনগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা জেলা, যুব ফোরাম, মহিলা ফোরাম ও ছাত্র ফোরামের নেতৃবৃন্দ।