খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত ধান-চাল মজুত রয়েছে। খাদ্য ঘাটতি ও দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। অযথা আতঙ্কিত হবেন না। আমরা সচেতন আছি, কেউ অবৈধ মজুত করতে পারবে না, করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সাধারণ চালেও পুষ্টি থাকে, তবে চাল চিকন করতে গিয়ে পুষ্টির অংশ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। সারাদেশে বছরে ৪ কোটি টন ধান ক্রাসিং হয়। মিল মালিকদের তথ্য অনুযায়ী, ‘চাল চিকন করতে গিয়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ চাল ক্ষয় হয়ে যায়। সে হিসেবে বছরে ১৬ লাখ টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। এটা না করলে বিদেশ থেকে হয়তো চাল আমদানি করতে হতো না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁও পর্যটন কনফারেন্স হলে ‘বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইস অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল সম্পর্কে বা এর গুণগুণ সম্পর্কে মোটেই সচেতন নন এবং তারা এই জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল বা ধান সম্পর্কে জানেনও না। জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল সম্পর্কে ভোক্তাকে আকৃষ্ট করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকাল আমরা রাসায়নিক ফর্মূলায় তৈরি করা জিঙ্ক খাচ্ছি, কিন্তু ভাতের মাধ্যমে যে এই উপাদানটি আমরা প্রাকৃতিকভাবে পেতে পারি তা জানি না। এই বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, দেশের মিলাররা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী চিকন চাল তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করে থাকে। কারণ গ্রাহকরা জিংক চালের জন্য উৎসাহ দেখান না এবং কৃষকরাও এই ধান চাষ করতে আগ্রহী হন না। কারণ জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের চাল একটু মোটা হয়ে থাকে। গ্রাহক বা ভোক্তা চিকন আর চকচকে চাল পছন্দ করেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আহম্মদ, হার্বেস্ট প্লাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম খায়রুল বাশার, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশন (গেইন) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার, পোর্টফলিও লীড ড. আশেক মাহফুজ, মিলার প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন এবং কৃষক প্রতিনিধি আইয়ুব নবী বক্তৃতা করেন।